বদলে যাচ্ছে শেকৃবির ব্যবহারিক শিক্ষা পদ্ধতি
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৬ মে ২০২৩, ১২:১৮ PM , আপডেট: ১৬ মে ২০২৩, ১২:২৫ PM
শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (শেকৃবি) ব্যাবহারিক শিক্ষা পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। এর ফলে বাড়তি নোটবুক লেখার চাপ কমানো, ক্লাসরুমে পাঠদানের চেয়ে হাতে-কলমে শেখার সুযোগ বৃদ্ধির প্রতি গুরুত্ব দেওয়া হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার শেখ রেজাউল করিম স্বাক্ষরিত নোটিশে বলা হয়েছে, স্নাতক পর্যায়ে প্রতিটি পরীক্ষণ শেষে শিক্ষার্থীদের ব্যাবহারিক নোটবুকের কাজ শেষ করে শিক্ষকের কাছ থেকে স্বাক্ষর সংগ্রহ করতে হবে। প্রযোজ্য ক্ষেত্রে হাতে-কলমে শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ করে দিতে হবে শিক্ষার্থীদের।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অলক কুমার পাল বলেন, শিক্ষার্থীদের আরও দক্ষ কৃষিবিদ হিসেবে গড়ে তুলতে এ পরিবর্তন আনা হয়েছে। ক্লাসের জন্য নির্ধারিত দু’ঘণ্টা ক্লাস করতে হবে। যেসব বিষয় শেখার জন্য মাঠে যাওয়া দরকার সেগুলো শেখানো হবে মাঠে। সব বিষয়ের পাঠদান রুমে বসে করা যাবে না।
শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, টেকনিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হলেও কিছু বিষয়ের ব্যাবহারিক ক্লাস এতদিন করানো হয় তাত্ত্বিকভাবে। বেশির ভাগ ক্লাসই হয় ক্লাসরুমে বা ল্যাবরেটরিতে। ল্যাবের চেয়ে মাঠে শেখার বিষয়ই বেশি। প্রতিটি ক্লাস শেষে নোটবুক লিখতে হয়। এটি ক্লাসেই রাফ করার মতো লেখার কথা।
কিন্তু সরবরাহকৃত মাত্রাতিরিক্ত শিট লিখতে হয়, যা ক্লাসের নির্ধারিত সময়ে সম্ভব হতো না। ফলে ক্লাসের বাইরে দীর্ঘ সময় ধরে নোটবুক লিখতে হতো। অযথা অনেক সময় নষ্ট হতো। নতুন নিয়ম কার্যকর হলে সময় সাশ্রয় হবে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের কারিগরি জ্ঞান বাড়বে।