কৃষিগুচ্ছ ভর্তিতে জিপিএ নম্বর কমানোর দাবিতে বাকৃবি উপাচার্যকে স্মারকলিপি
- বাকৃবি প্রদায়ক
- প্রকাশ: ০৯ মার্চ ২০২৫, ০৩:৩২ PM , আপডেট: ০৯ মার্চ ২০২৫, ০৫:১৭ PM

২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে কৃষি গুচ্ছভুক্ত ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে জিপিএ নম্বর কমানোর দাবি জানিয়ে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। আজ রবিবার (৯ মার্চ) বেলা দেড়টায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়ার কাছে তারা এ সংক্রান্ত স্মারকলিপি জমা দেন।
স্মারকলিপিতে ভর্তিচ্ছুরা বলেন, ‘কৃষি গুচ্ছ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় জিপিএ পদ্ধতির কারণে শিক্ষার্থীদের মধ্যে যে বৈষম্য তৈরি হয়েছে, তা দূর করার জন্য আমাদের এ উদ্যোগ। করোনা মহামারির পর বিভিন্ন ব্যাচের পরীক্ষা পদ্ধতিতে পরিবর্তন আসায় তাদের জিপিএ নির্ধারণের পদ্ধতিতেও পার্থক্য দেখা গেছে। ২০২২ ব্যাচ যেখানে ৫০ নম্বরের পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে, সেখানে ২০২৩ ব্যাচ সম্পূর্ণ ১০০ নম্বরের পরীক্ষায় অংশ নেয় আর ২০২৪ ব্যাচের কিছু বিষয়ের নম্বর এসএসসি থেকে নেওয়া হয়েছে। ফলে তাদের জিপিএ তুলনামূলক বেশি হয়েছে। এতে আগের ব্যাচগুলোর তুলনায় ২০২৪ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা বিশেষ সুবিধা পাবে, যা অন্যদের প্রতি অবিচার।’
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ: সেই শিক্ষককে আদালত প্রাঙ্গণে গণধোলাই
স্মারকলিপি বলা হয়, ‘এ ছাড়া বোর্ডভিত্তিক প্রশ্নপত্রের মানের পার্থক্যের কারণে শিক্ষার্থীদের নম্বরে তারতম্য থাকে, কিন্তু গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় সবাইকে একই নিয়মে জিপিএ নম্বর দেওয়া হয়, যা কিছু শিক্ষার্থীর প্রতি বৈষম্যমূলক। অনেক শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় ভালো করলেও তাদের এসএসসি ও এইচএসসি নম্বর কম থাকার কারণে পিছিয়ে পড়ে এবং মেধাতালিকায় স্থান পায় না। চতুর্থ বিষয় গণনার অসঙ্গতির কারণেও কিছু শিক্ষার্থী অন্যদের তুলনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়।’
স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, ‘এই সমস্যার সমাধানে ভর্তি পরীক্ষার মেধাতালিকা শুধু পরীক্ষার নম্বরের ভিত্তিতে তৈরি করা উচিত। যদি জিপিএ নম্বর যুক্ত করতেই হয়, তাহলে তা সর্বোচ্চ ১০ বা ২০ নম্বরে সীমাবদ্ধ রাখা উচিত এবং ঢাবি, চবি, জাবির মতো গ্রেড পয়েন্টের ভিত্তিতে নম্বর নির্ধারণ করা যেতে পারে। শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন পূরণে এই বৈষম্য দূর করে একটি ন্যায়সঙ্গত ভর্তি প্রক্রিয়া চালু করার জন্য উপাচার্য মহোদয়ের সুদৃষ্টি কামনা করছি।’
আরও পড়ুন: ধর্ষণের শাস্তির দাবিতে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের হিড়িক রাবি শিক্ষার্থীদের
নটর ডেম কলেজ ময়মনসিংহের শিক্ষার্থী কাওসার বলেন, ‘একই ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নে কেউ ৬৮ পেয়ে চান্স পায়, আবার কেউ ৭২ পেয়েও চান্স পায় না। তার অন্যতম কারণ জিপিএ গ্রেড সিস্টেমের পরিবর্তে নম্বর সিস্টেম। আমরা ২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থীরা নম্বর সিস্টেমের পরিবর্তে গ্রেড সিস্টেমের মতো করে কৃষিগুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষাটা চাই।’
কৃষি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করা আসপেক্ট ও নেটওয়ার্ক এর উপদেষ্টা মো. হোসেন আলী জানান, ‘শিক্ষার্থীদের দাবি যৌক্তিক। সাবজেক্ট ম্যপিংয়ের মাধ্যমে এইচএসসির ফল প্রকাশিত হওয়ায় জিপিএ-৫ প্রাপ্তির সংখ্যা অনেক। বিষয়টি বিবেচনা করে কৃষি গুচ্ছ ভর্তিতে জিপিএ নম্বর কমানো দরকার। জাবিতে মাত্র ২০, আর রাবি ও ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ক্ষেত্রে শুধু পরীক্ষার ভিত্তিতে ভর্তি করানো হচ্ছে। কাজেই কৃষি গুচ্ছে জিপিএ নম্বর কমানো এখন সময়ের দাবি।’