মেডিকেল প্রশ্নে প্রাধান্য পেয়েছে সংক্ষিপ্ত সিলেবাস
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০২ এপ্রিল ২০২২, ১১:২৩ AM , আপডেট: ০২ এপ্রিল ২০২২, ১১:৩৩ AM
২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নে ২০২১ সালের এইচএসসি’র সংক্ষিপ্ত সিলেবাস প্রাধান্য পেয়েছে। বেশিরভাগ প্রশ্ন এইচএসসির সংক্ষিপ্ত সিলেবাস থেকে এসেছে।
গতকাল শুক্রবার মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্র থেকে বের হওয়ার পর ভর্তিচ্ছুদের মুখে মুখে আলোচনায় ছিল পরীক্ষার প্রশ্নের বিষয়টি। পূর্ণাঙ্গ ও সংক্ষিপ্ত সিলেবাস নিয়ে কথা উঠলেও প্রশ্নের মান নিয়ে সবাই সন্তুষ্ট ছিলেন। শিক্ষার্থীরা বলছেন, ৮০ থেকে ৮৫ শতাংশ প্রশ্ন সংক্ষিপ্ত সিলেবাস থেকে করা হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের এমন অভিযোগ খতিয়ে দেখেতে বিভিন্ন মাধ্যম থেকে প্রশ্ন সংগ্রহ করে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস। সেই প্রশ্ন বিশ্লেষণে ভর্তিচ্ছুদের অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। প্রশ্ন বিশ্লেষণে দেখা গেছে, জীববিজ্ঞান, পদার্থ ও রসায়ন বিষয়ের প্রায় ৮০ শতাংশ প্রশ্ন সংক্ষিপ্ত সিলেবাস থেকে এসেছে।
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর বলছে, প্রশ্ন কোথা থেকে করা হবে না হবে সেটি নির্ধারণে একটি কমিটি কাজ করে। ওই কমিটি যেটা ভালো মনে করেছে সেটাই করেছে। তারা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসকে প্রাধান্য দিয়েছে। সেজন্য বেশিরভাগ প্রশ্ন সংক্ষিপ্ত সিলেবাস থেকেই এসেছে।
আরও পড়ুন: মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার ফল সোমবার!
মেডিকেল প্রশ্নপত্র প্রণয়ন কমিটির একটি সূত্র জানিয়েছে, ২০২১ সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য যে সিলেবাস প্রণয়ন করা হয়েছিল সেখানে গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় বেশি ছিল। যে অধ্যায়গুলো শিক্ষার্থীদের জানা দরকার এবং যেগুলো উচ্চশিক্ষা গ্রহনের ক্ষেত্রে বেশি প্রয়োজন হয় সেই অধ্যায়গুলো রাখা হয়েছিল। মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন বিভিন্ন অধ্যায়ের বিষয়ভিত্তিক গুরুত্ব বিবেচনায় করা হয়েছে। এর ফলে সংক্ষিপ্ত সিলেবাস প্রাধান্য পেয়েছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ এইচ এম এনায়েত হোসেন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ভর্তি পরীক্ষার নীতিমালায় যে সিলেবাসের কথা বলা হয়েছে সেই সিলেবাসের আলোকেই প্রশ্ন হয়েছে। সিলেবাসের বাইরে কোনো প্রশ্ন করা হয়নি।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার (১ এপ্রিল) সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত দেশের ১৯টি কেন্দ্রের ৫৭টি ভেন্যুতে একযোগে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভর্তি পরীক্ষায় ১ লাখ ৪৩ হাজার ৯১৫ জন শিক্ষার্থী আবেদন করলেও ৪ হাজার ১৭৫ পরীক্ষার্থী হলে যায়নি। পরীক্ষায় অনুপস্থিতির হার ২ দশমিক ৯ শতাংশ। পরীক্ষায় উপস্থিত ছিলেন ১ লাখ ৩৯ হাজার ৮৭৫ জন।