ঢাবির ‘নোংরা লোকেরা’ ফের প্রতিহিংসায় মেতেছে: সামিয়া রহমান

সামিয়া রহমান
সামিয়া রহমান  © ফাইল ছবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক সামিয়া রহমানের কাছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পাওনা ১১ লাখ ৪১ হাজার ২১৬ টাকা দাবির ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তিনি। সামিয়া রহমান বলেছেন, প্রশাসনের নোংরা লোকেরা আবারও প্রতিহিংসায় মেতে উঠেছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের চিঠির প্রতিক্রিয়া তিনি এ মন্তব্য করেন।

এর আগে আজ বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকার স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে দাবি করা হয়, সামিয়া রহমানের প্রভিডেন্ট ফান্ডে সুদসহ জমাকৃত টাকার পরিমাণ ১৬,৫৮,২১৬ টাকা। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিকট তার দেনা ১১,৪১,৬১৬ টাকা পরিশোধ করার জন্য  অনুরোধ করা যাচ্ছে। এ টাকা পরিশোধ না করলে প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে বলে হুশিয়ারি করা হয়েছে।

সামিয়া রহমান বলেন, বেতন-ভাতাসহ অর্জিত ছুটি প্রতিটি মানুষের অধিকার। এখনো আমার অর্জিত ছুটি রয়ে গেছে। সবচেয়ে বড় কথা, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আমাকে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে অবসর দিচ্ছে। কিন্তু উচ্চ আদালত তো আমাকে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে সব সুযোগ-সুবিধা দিতে বলেছেন। আমি অবসর নিলে নেব সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে।

এর আগে গত ৪ আগস্ট সামিয়া রহমানকে পদাবনতির সিন্ডিকেটের নেওয়া (প্রশাসনিক) সিদ্ধান্ত অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে তাকে সব ধরনের বিভাগীয় সুযোগ সুবিধা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

আরও পড়ুন: সামিয়া রহমানের কাছে ১১ লাখ ৪১ হাজার টাকা দাবি ঢাবির

সামিয়া রহমান বলেন, চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত আমার অর্জিত ছুটি ছিল। এখনো বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে আমার আরও অর্জিত ছুটি পাওনা আছে। দ্বিতীয় দফায় ফেব্রুয়ারিতে আমি বিনা বেতনে ছুটির আবেদন করি। সেটা যখন অনুমোদন করা হয়নি, তখন ৩১ মার্চ আমি স্বেচ্ছায় অবসর চাই।

‘‘যেখানে ৩১ মার্চ পর্যন্ত আমার অর্জিত ছুটি ছিল, সেখানে কীভাবে আমাকে পাঁচ মাস আগে থেকে (গত বছরের ১৫ নভেম্বর) অবসর দেওয়া হলো। কিসের ভিত্তিতে বলা হচ্ছে যে আমার কাছে পাওনা আছে? চিঠিতেও লেখা নেই কিসের ভিত্তিতে টাকা? ব্যাপারটা হাস্যকর।’’

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আদালতের কাছে হেরে গেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনে থাকা ব্যক্তিরা যে মিথ্যাবাদী, তা উচ্চ আদালতে প্রমাণিত হয়েছে। ষড়যন্ত্র করে যারা একজন মানুষকে মানহানি করে এত বড় ক্ষতি সাধন করতে পারে, টাকা তো তাদের কাছে তুচ্ছ ব্যাপার।

সামিয়া রহমান ২০০০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রভাষক হিসেবে নিয়োগ পান। পরে তিনি সহকারী অধ্যাপক ও সহযোগী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পান। তবে গবেষণায় চৌর্যবৃত্তির অভিযোগে ২০২১ সালের ২৮ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় তাকে এক ধাপ পদাবনতি দিয়ে সহকারী অধ্যাপক করা হয়। পরে ওই বছরের ৩১ আগস্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন সামিয়া রহমান।


সর্বশেষ সংবাদ