সামিয়া রহমানের গবেষণা সংক্রান্ত সব নথি হাইকোর্টে

সামিয়া রহমানের গবেষণা সংক্রান্ত সব নথি হাইকোর্টে
সামিয়া রহমানের গবেষণা সংক্রান্ত সব নথি হাইকোর্টে  © ফাইল ফটো

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়য়ের সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিভাগের শিক্ষক সামিয়া রহমানের গবেষণা সংক্রান্ত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন ও যাবতীয় নথি হাইকোর্টে দাখিল করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এসকল নথি দাখিল করা হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট তদন্ত কমিটির পক্ষে আইনজীবী এসব প্রতিবেদন দাখিল করেন। পরে আগামী ২৪ অক্টোবর এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন হাইকোর্ট।

আদালতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট নাঈম আহমেদ। সামিয়া রহমানের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার হাসান এম এস আজিম।

অ্যাডভোকেট নাঈম আহমেদ বলেন, জালিয়াতির অভিযোগ থাকা এই সব গবেষণা নিবন্ধের রিভিউ, জালিয়াতি অনুসন্ধানকারী কমিটির প্রতিবেদন ও জালিয়াতির শাস্তি নির্ধারণে গঠিত ট্রাইব্যুনালের সুপারিশ প্রতিবেদন আকারে হাইকোর্টে দাখিল করেছি। আগামী রবিবার শুনানির জন্য কার্যতালিকায় করবে।

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে সামিয়া রহমান ও মারজানের যৌথভাবে লেখা ‘এ নিউ ডাইমেনশন অব কলোনিয়ালিজম অ্যান্ড পপ কালচার: এ কেস স্টাডি অব দ্য কালচারাল ইমপেরিয়ালিজম’ শিরোনামের আট পৃষ্ঠার একটি গবেষণা প্রবন্ধ বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সোশ্যাল সায়েন্স রিভিউ’ জার্নালে প্রকাশ করা হয়। পরে এটি ১৯৮২ সালের শিকাগো ইউনিভার্সিটির জার্নাল ‘ক্রিটিক্যাল ইনকোয়ারি’তে প্রকাশিত ফরাসি দার্শনিক মিশেল ফুকোর ‘দ্য সাবজেক্ট অ্যান্ড পাওয়ার’ নামের একটি নিবন্ধ থেকে প্রায় পাঁচ পৃষ্ঠা হুবহু নকল বলে অভিযোগ ওঠে।

এ ঘটনায় পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করে। ওই কমিটির সুপারিশ অনুসারে চলতি বছর ৩১ আগস্ট সামিয়া রহমানকে সহযোগী অধ্যাপক থেকে ডিমোশন দিয়ে সহকারী অধ্যাপক করে দেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট।

এছাড়াও পিএইচডি থিসিসে জালিয়াতির আরেক ঘটনায় ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষক ওমর ফারুককে সহকারী অধ্যাপক থেকে প্রভাষক পদে অবনমন ঘটানো হয়েছে। তার ডিগ্রিও বাতিল করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদাবনতির সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন সামিয়া রহমান। গত ৫ সেপ্টেম্বর ওই রিটের শুনানি নিয়ে রুলসহ গবেষণা সংক্রান্ত নথিপত্র তলব করে আদেশ দেন হাইকোর্ট। এরই ধারাবাহিকতায় আজ বৃহস্পতিবার ঢাবির তদন্ত কমিটির নথিপত্র হাইকোর্ট দাখিল করা হয়।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence