আইনি লড়াইয়ে জিতে দুই বছর পর চবিতে ভর্তির সুযোগ দুই ছাত্রীর
- চবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৪:৫৬ PM , আপডেট: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৫:৩২ PM
আইনি লড়াইয়ে জয়ী হয়ে অবশেষে দুই বছর পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ভর্তির অনুমোদন পেয়েছেন ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের দুই শিক্ষার্থী। আজ রবিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সুপ্রিম কোর্টের রায়ের প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের ভর্তির অনুমোদন দেয়। এর আগে গত ২২ সেপ্টেম্বর যোগ্যতা থাকা সাপেক্ষে তাদেরকে ভর্তির বিষয়টি বিবেচনা করতে চবি কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
তারা হলেন জিনাতুল ফেরদৌস নাহিন ও ফাহিমা আক্তার। এর মধ্যে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় জিনাতুল কলা ও মানববিদ্যা অনুষদভুক্ত ‘বি’ ইউনিটে ১০৯১ তম ও ফাহিমা বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘এ’ ইউনিটে ৪৩৪তম হয়েছিলেন।
এ বিষয়ে জিনাতুল ফেরদৌস নাহিন গণমাধ্যমকে বলেন, দীর্ঘ ২৫ মাস পর আমরা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির অনুমোদন পেয়েছি। আমরা কল্পনা করিনি ভর্তি হতে পারবো। আমরা ভর্তির অনুমোদন পেয়ে সত্যি আনন্দিত। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ।
বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার অধ্যাপক (ভারপ্রাপ্ত) এস এম মনিরুল হাসান বলেন, সুপ্রিম কোর্টের রায়ের প্রেক্ষিতে আমরা ওই দুই শিক্ষার্থীকে ভর্তির অনুমোদন দিয়েছি। তাদের ভর্তি হতে আর কোনো আইনি বাধা নেই।
তথ্য মতে, ২০১৯ সালে উচ্চ মাধ্যমিকে মানোন্নয়ন পরীক্ষা দেয়া চবির ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় (‘এ’ ‘বি’ এবং ‘সি’ ইউনিটে) মেধাতালিকায় স্থান পাওয়ার পরও ভর্তি প্রক্রিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে ৮২ জন শিক্ষার্থী তিনটি রিট করেন। এছাড়া ‘ডি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়া একজন শিক্ষার্থী একটি রিট করেন। এসব রিটের শুনানি নিয়ে ২০২০ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট বিভাগ চবির ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের তিন ইউনিটে মেধাতালিকায় স্থান পাওয়া ৮২ শিক্ষার্থীর ভর্তিপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করার নির্দেশ দেয়।
এছাড়া ‘ডি’ ইউনিটে মানোন্নয়ন দেয়া ভর্তি পরীক্ষার্থীদের ফলাফল প্রকাশ না করায় রিট আবেদনকারীর ফলাফল প্রকাশ ও সেই অনুযায়ী ভর্তির বিষয়টি বিবেচনা করতে বলা হয়। পরে ওই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
কিন্তু আবেদনগুলো দীর্ঘদিন শুনানিতে না আসায় শিক্ষার্থীরা গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর ভার্চ্যুয়ালি বিষয়টি আপিল বিভাগের নজরে এনে বলেন, আমরা কোথাও ভর্তি হয়নি। চবিও আমাদের ভর্তি করেনি। আমাদের শিক্ষাজীবন আটকে আছে।
এরপর আদালত শুনানির জন্য দিন ধার্য করে। একই বছর ২২ সেপ্টেম্বর শুনানিতে ৮২ শিক্ষার্থী নয়, কেবল যোগ্যতা থাকা সাপেক্ষে দুই শিক্ষার্থীকে ভর্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করতে চবি কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।