করোনায় বন্ধ জাবির ক্লাস
পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে ঢাবি, চলমান থাকবে ক্লাস-পরীক্ষা
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৬ জানুয়ারি ২০২২, ০৪:২৬ PM , আপডেট: ০৬ জানুয়ারি ২০২২, ০৪:৫০ PM
দেশে চলমান করোনা পরিস্থিতির ঊর্ধ্বগতির মুখে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সশরীরে ক্লাস বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে এখনই শিক্ষার্থীদের ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধের করতে চায় না ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ঢাবি প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের কথা জানানো হয়েছে।
ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বৃহস্পতিবার বিকেলে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, এখনই বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ করে দেয়ার মত পরিস্থিতি হয়নি। যেহেতু আমাদের হলগুলো খোলা রয়েছে, সেক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমাদের ক্লাস-পরীক্ষাগুলো চলমান থাকবে।
আরও পড়ুন: জাবিতে সশরীরে ক্লাস বন্ধ ঘোষণা
এর আগে, গত ৪ অক্টোবর থেকে ঢাবি শিক্ষার্থীদের টিকা কার্যক্রম শুরু হয়। পরে ৫ অক্টোবর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল খুলে দেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রায় শতভাগ শিক্ষক-শিক্ষার্থী ইতমধ্যে দুই ডোজ টিকার আওতায় এসেছেন। এছাড়া বুস্টার ডোজের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
আরও পড়ুন: টিকা না নিলে স্কুলে যেতে পারবে না শিক্ষার্থীরা
করোনা পরিস্থিতির উর্ধ্বগতি ঠেকাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বুস্টার ডোজ প্রদানে অগ্রাধিকার চেয়েছে ঢাবি কর্তৃপক্ষ। করোনা পরিস্থিতির ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বুস্টার ডোজ প্রদানে অগ্রাধিকার চেয়েছে ঢাবি কর্তৃপক্ষ।
অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সশরীরে ক্লাস বন্ধ ঘোষণা করেছে সেটি আমরা জেনেছি। তবে তাদের হলগুলো খোলা রয়েছে। ঢাবি পুরো ব্যাপারটি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছে।
আরও পড়ুন: ঢাবিতে আসন কমানোর সুপারিশে শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ
গতকাল বুধবার রাতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক প্রশাসনিক সভায় বিশ্ববিদ্যালয়টির সশরীরে ক্লাস বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। তবে শরীরে ক্লাস বন্ধ থাকলেও আবাসিক হলগুলো খোলা রয়েছে এবং চলমান পরীক্ষাগুলা চলমান থাকবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে বড় পরিসরে আইসোলেশানের কথা ভাবছে বিশ্ববিদ্যালয়টি।
এদিকে, গতকাল বুধবার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৩ জনের মৃত্যু হয়। এদিন নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৮৯২ জন। করোনার নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে দৈনিক শনাক্তের হার আবার পৌঁছে গেছে ৫ শতাংশের কাছাকাছি।