রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালেয়ে ছাত্র সংগঠনে জড়াতে নিষেধাজ্ঞা!

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়  © ফাইল ফটো

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ছাত্র সংগঠন গঠন করা ও সংগঠনের সাথে জড়াতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি হলে টাঙানো নোটিশের মাধ্যমে এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। যদিও প্রক্টর অফিস বলছে, এটি পুরোনো নিয়ম-কানুন। নতুন করে টাঙানো হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিভিন্ন ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনের নেতারা। তারা বলছেন, দেশের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো রাজনীতির আঁতুড়ঘর হিসেবে পরিচিত। এখান থেকেই পরবর্তীতে জাতীয় নেতারা বেরিয়ে আসেন। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এমন নোটিশে শিক্ষার্থীদের মনে ভয়ের সৃষ্টি হবে।

আরও পড়ুন: রাবিতে শিক্ষার্থীদের নিয়ম-শৃঙ্খলার বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ

জানা গেছে, গত ১৯ ডিসেম্বর রাবির ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর লিয়াকত আলী স্বাক্ষরিত ১৭টি নির্দেশনা সম্বলিত নোটিশ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১টি ছাত্র হল এবং ৬টি ছাত্রী হলে টাঙানো হয়। নোটিশে বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ ১৯৭৩ এর বিভিন্ন ধারা এবং উপধারাকে সূত্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে।

নোটিশের ৩ নম্বর পয়েন্টে বলা হয়েছে, ‘শিক্ষার্থীরা কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ, হল সংসদ এবং বিভাগীয় সমিতি ছাড়া কোনো ক্লাব বা সমিতি বা ছাত্রসংগঠন গঠন করতে পারবে না। প্রক্টরের পূর্বানুমতি ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো মিটিং, পার্টি বা আপ্যায়ন অথবা বাদ্যযন্ত্র বাজানো যাবে না।’

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর লিয়াকত আলী জানান, অল্প কিছুদিনের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন শিক্ষার্থীরা আসবেন। শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন-শৃঙ্খলা সম্পর্কে অবগত করতে এই নোটিশ টাঙানো হয়েছে।

আরও পড়ুন: বিবাহিত ছাত্রীদের হলে না রাখার নিয়ম কীভাবে এসেছিল?

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এমন নোটিশ টাঙানোর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যে আইনগুলোর কথা বলছে সেগুলো মানা সম্ভব নয়। বিশ্ববিদ্যালয় একটি মুক্ত বুদ্ধি চর্চার জায়গা। এখানে নিজের পছন্দ মতো সংগঠন তৈরি করবে ও কাজ করবে। সংগঠন না করলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে নেতৃত্ব তৈরি হবে না।

রাবি শাখা ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মহব্বত হোসেন মিলন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এমন নোটিশ দিয়ে শিক্ষার্থীদের ভয় দেখাতে চাচ্ছে। তারা যেন শিক্ষার্থীদের নিজেদের প্রয়োজনে ব্যবহার করতে পারে সেজন্যই এমন নোটিশ। তাই প্রশাসনের এ নোটিশ প্রত্যাহার করে অবিলম্বে ক্ষমা চাওয়া উচিত।


সর্বশেষ সংবাদ