সাম্য হত্যাকাণ্ডের পর ক্যাম্পাসের নিরাপত্তায় যেসব পদক্ষেপ নিলো ঢাবি
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৪ মে ২০২৫, ০৭:৩৯ PM , আপডেট: ১৫ মে ২০২৫, ০২:১২ AM

সম্প্রতি রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের মেধাবী শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছেন। এ ঘটনার পর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সার্বিক পরিবেশ নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এরই মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং উদ্যানের গেইট স্থায়ীভাবে বন্ধ করার বিষয়ে একটি জরুরি সভা ডেকে কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে ঢাবি।
আজ বুধবার (১৪ মে) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের সভাপতিত্বে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। এসময় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মুনসী শামস উদ্দিন আহম্মদ, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নজরুল ইসলাম, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মো. শাহজাহান মিয়া ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)-এর প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বেশিরভাগ শিক্ষার্থীকে আমি ‘তুই’ বলে সম্বোধন করি: ঢাবি ভিসি
জনসংযোগ দফতরের উপ-পরিচালক ফররুখ মাহমুদের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেইট স্থায়ীভাবে বন্ধ করার বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বুধবার দুপুরে জরুরি বৈঠক করে। বৈঠকের সিদ্ধান্তসমূহ:
১. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেইট স্থায়ীভাবে বন্ধ থাকবে।
২. আগামীকাল থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তল্লাশি অভিযান চলবে।
৩. সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে রমনা পার্কের মতো স্থায়ী উন্নয়নের জন্য গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে শিগগিরই একটি তদারকি কমিটি গঠন করা হবে। কমিটিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি), ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, কালী মন্দির কর্তৃপক্ষ ও বাংলা একাডেমির প্রতিনিধিরা অন্তর্ভুক্ত থাকবেন।
৪. সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পর্যাপ্ত সিসি ক্যামেরা ও লাইটের ব্যবস্থা করা হবে। অধিকতর নিরাপত্তা নিশ্চিতে ডিএমপির পক্ষ থেকে একটি পুলিশ বক্সও স্থাপন করা হবে।
৫. সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে একটি নিরাপদ পার্ক হিসেবে গড়ে তোলার জন্য দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে।