রাবিতে শিবির সভাপতির কক্ষ থেকে অস্ত্র উদ্ধারের ভিডিওটি ভুয়া

ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া অস্ত্রের ছবি (মাঝে) ও রাবি শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ (ডানে)
ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া অস্ত্রের ছবি (মাঝে) ও রাবি শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ (ডানে)  © সংগৃহীত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব আবদুল লতিফ হলে ছাত্রশিবির সভাপতির কক্ষ থেকে অস্ত্র উদ্ধারের একটি ভিডিও সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। কেউ কেউ আবার হল শাখা ছাত্রদলের সভাপতির কক্ষ থেকে সেগুলো উদ্ধার হয়েছে বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেছেন।

আজ শুক্রবার (৭ মার্চ) রাতে তথ্যটি গুজব বলে নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবর রহমান।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর গণমাধ্যমকে বলেন, হল থেকে অস্ত্র উদ্ধারের খবরটি বিভিন্ন জায়গা থেকে শুনেছি। এই ঘটনার ক্রস চেক করেছি, কিন্তু এর কোনো সত্যতা নেই। এটা সম্পূর্ণ গুজব।  এমন কোনো আলামত নবাব আব্দুল লতিফ হলে পাওয়া যায়নি। দেশ এবং ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করতেই একটা মহল উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে এ গুজবটি ছড়িয়েছে।’

এদিকে, ফ্যাক্ট চেকার প্রতিষ্ঠান রিউমর স্ক্যানের এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, অস্ত্র উদ্ধারের একই ভিডিওটি ২০২৪ সালের ১৮ আগষ্টে মো. সওকত হোসেন নামের এক ব্যাক্তি তার ফেসবুকে আপলোড করে।  যার ক্যাপশন ছিল ‘টঙ্গীবাড়ী থানার লুটপাট হওয়া অস্ত্র সেনাবাহিনী উদ্ধার করে থানার হস্তান্তর করেছে।

রাবি শিবিরের সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদ ফয়সাল বলেন, লতিফ হলের অস্ত্র উদ্ধারের ভিডিও ফেসবুকে দেখেছি। এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো ঘটনা নয়। শিবিরের নামে চালিয়ে সম্পূর্ণ একটি গুজব ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বিগত সময়েও রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ শক্তিগুলো ছাত্রশিবিরকে আদর্শিকভাবে মোকাবিলা করতে না পেরে এমন গুজব ছড়াতো বিভিন্ন সময়। কিন্তু সাধারণ শিক্ষার্থী ও দেশবাসী এসব গুজবে বিশ্বাস করেনি।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অস্ত্র উদ্ধারের একটি ভিডিও ক্লিপ ছড়িয়ে পড়ে। ওই ভিডিওর ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব আবদুল লতিফ হলের শিবিরের সভাপতির রুম থেকে পুলিশের লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী। এগুলো দিয়েই সমগ্র বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটাতে যাচ্ছে।


সর্বশেষ সংবাদ