স্নাতকের রেজাল্টের আগেই প্রথম শ্রেণিতে চাকরি, ব্যাখ্যা দিল রাবি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়  © সংগৃহীত

স্নাতক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার আগেই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এক শিক্ষার্থীর প্রথম শ্রেণির চাকরি পাওয়া নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে বুধবার (৫ মার্চ) বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাখ্যা দিলেন বিশ্ববিদ্যালয়টির আইসিটি সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক মো. ছাইফুল ইসলাম।

আজ বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) বেলা সাড়ে ১২টায় অধ্যাপক ছাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেন্টারে একটি অস্থায়ী নিয়োগ নিয়ে সংবাদমাধ্যমে কিছু রিপোর্ট আমাদের দৃষ্টিতে এসেছে। 

আরো পড়ুন: বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থ ছাড়ে জটিলতা দূর হচ্ছে

নিয়োগের প্রেক্ষাপট উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমি আইসিটি সেন্টারের পরিচালক পদে ২০২৪ সালের পহেলা নভেম্বর যোগদান করি। যোগদানের পর থেকেই এই সেন্টারে দক্ষ কম্পিউটার প্রোগ্রামারের জরুরি প্রয়োজন অনুভব করি। বিষয়টি মাননীয় উপাচার্যকে অবহিত করলে তিনি দক্ষ প্রোগ্রামার খুঁজে অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়ার জন্য মৌখিক নির্দেশনা প্রদান করেন। মাননীয় উপাচার্য এটাও স্পষ্ট করেন, শুধুমাত্র অত্যন্ত দক্ষ হলেই বিবেচনা করা হবে।’

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই নির্দেশনা সামনে রেখে একই বছরের ১৮ নভেম্বর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের ছাত্র মোমেন খন্দকার অপিকে অস্থায়ী ভিত্তিতে সহকারী প্রোগ্রামার পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। মোমেন খন্দকার অপি নিয়োগকালীন তার স্নাতক ইঞ্জিনিয়ারিং পরীক্ষার ফলাফল অফিসিয়ালি প্রকাশিত না হওয়ায় appeared মর্মে আবেদন করেন। নিয়োগের কয়েক সপ্তাহের মধ্যে তার ফলাফল প্রকাশিত হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আইসিটি সেন্টারের পরিচালক বলেন, ‘মোমেন খন্দকার অপি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সেরা প্রোগ্রামারদের ভেতর একজন। ছাত্রাবস্থায় তিনি পড়ালেখার পাশাপাশি একাধিক প্রাইভেট সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট ফার্মের সাথে প্রোগ্রামার হিসেবে কাজ করেছেন।’

প্রসঙ্গত, গত ১৮ নভেম্বর এক অফিস আদেশে মোমেন খন্দকার অপি নামের একজনকে আইসিটি সেন্টারের সহকারী প্রোগ্রামার হিসেবে নিয়োগ দেয় প্রশাসন। তবে তখনও তার স্নাতক (সম্মান) চূড়ান্ত পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়নি। মোমেন খন্দকার বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। নিয়োগের প্রায় এক মাস পর ১২ ডিসেম্বর তার চূড়ান্ত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়। এতে তিনি সিজিপিএ–৩.২০ পেয়ে উত্তীর্ণ হন।


সর্বশেষ সংবাদ