ভারতে বাংলাদেশি নারীকে ধর্ষণের প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ
- ঢাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০৪:৫৪ PM , আপডেট: ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০৫:০০ PM

ভারতের ব্যাঙ্গালুরুতে বাংলাদেশি নারীকে ধর্ষণের পর হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। আজ শনিবার (২৫ জানুয়ারি) বিকেল তিনটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এমন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
এ সময় তারা ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’,‘দালালি না আজাদী, আজাদী আজাদী’, ‘ভারতীয় আগ্রাসন, রুখে দাও জনগণ’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঢাকা কলেজের আহ্বায়ক আফজাল হোসেন রাকিব বলেন, ‘ভারত যদি মনে করে ফেলানীর মতো হত্যাকাণ্ড করলে কোনো বিচার হবে না, তাহলে আপনারা ভুল করছেন। বাংলাদেশের সঙ্গে আধিপত্য বিস্তার করলে আপনারা ভুল করছেন।’
তিতুমীর কলেজ শিক্ষার্থী নিরব হাসান সুজন বলেন, ‘কলকাতায় মৌমিতা হত্যায় আমরা ঢাকায় বিক্ষোভ করেছিলাম। আমাদের সরকার আমাদের রক্তের মধ্য দিয়ে গঠিত হয়েছে। আমি আপনাদের বলতে চাই, আপনারা আমাদের বোনের হত্যাকাণ্ডের বিচার নিশ্চিত করুন।’
আরও পড়ুন: ঢাবি ভর্তিতে কোটা নিয়ে সিদ্ধান্ত জানালেন উপাচার্য
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসিব আল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ এই হত্যাকাণ্ডের বিচার চায়। এর আগে আওয়ামী লীগ সরকার আমাদের স্বাধীনতা ভারতের কাছে বিক্রি করে দিয়েছিল। আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বলে দিতে চাই, আপনারা যদি নাজমা হত্যাকাণ্ডের বিচারে পদক্ষেপ না নেন, তাহলে জনগণ কিন্তু সেটা মেনে নেবে না।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য তারিকুল ইসলাম বলেন, ভারতের হাতে বাংলাদেশিদের খুন কোনো নতুন ঘটনা নয়। ভারত বাংলাদেশের মানুষকে দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক মনে করে একের পর এক খুন করেই গেছে। অসংখ্য প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে তারা এই দেশকে করদরাজ্য বানিয়ে রেখেছিল। গত ৫৪ বছরে ভারতের আধিপত্যের কারণে যত খুন হয়েছে, তার সবগুলোর বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নির্বাহী কমিটির সদস্যসচিব আরিফ সোহেল বলেন, ভারত বাংলাদেশের জুলাই অভ্যুত্থানকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড হিসেবে দেখাতে চেয়েছে। তারা বাংলাদেশের মানুষকে নিয়ে ভারতে ঘৃণা উৎপাদন করেছে। এ হত্যাকাণ্ড তারই ফলাফল।
আরও পড়ুন: ঢাবিতে আজ প্রতি আসনে লড়বেন ৪৩ শিক্ষার্থী
তিনি বলেন, ভারতের স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী ভারতের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দিতে পারেনি।
আরিফ সোহেল ভারতের জনগণের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনাদের সাথে আমাদের কোনো বিরোধ নেই। আপনারা দেখেন কীভাবে বর্ডারে আমাদের ভাইকে হত্যা করা হচ্ছে, আমাদের ওপরে কেমন আধিপত্য চালাচ্ছে।’
যত দিন বাংলাদেশ সফল রাষ্ট্র না হবে, তত দিন রাজপথে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।