দুই দিন আগেও রাবির সেন্ট্রাল মসজিদে কোরআন পুড়িয়েছিল দুর্বৃত্তরা
- রাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১২ জানুয়ারি ২০২৫, ০৪:৩৬ PM

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ছয়টি আবাসিক হলে মহাপবিত্র আল কোরআন পোড়ানোর মতো ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে। তবে রাবিতে এটাই কোরআন পুড়ানোর প্রথম ঘটনা নয়, এর আগে গত ৯ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে কোরআন পুড়িয়েছিল দুর্বৃত্তরা।
রবিবার (১২ জানুয়ারি) বিকেলে বিষয়টি দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে নিশ্চিত করেছেন কেন্দ্রীয় মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা ফাহিম মাহমুদ।
মাওলানা ফাহিম মাহমুদ দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, গত বৃহস্পতিবার রাতে এশার পর আমাদের কেন্দ্রীয় মসজিদে কোরআন পোড়ানোর ঘটনা ঘটেছিল। পবিত্র কোরআনের ভিতরের ১০-১২টি পৃষ্ঠা পুড়ানো ছিল। ওই সময় একটা চিঠি দেখতে পাই। সেখানে লেখাছিল 'আমি মাস্টারবেশন ও সমকামিতার মতো খারাপ কাজে আসক্ত হয়ে গেছি। আল্লাহ কি আমাকে ক্ষমা করবেন?’ এছাড়া আরো কয়েকটি গুনাহের কাজে লিপ্ত থাকার কথা ওই চিঠিতে লেখাছিল।
তিনি আরো বলেন, আমরা প্রথমে ভেবেছিলাম অভিযুক্ত ব্যক্তিটি মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন হবেন। তবে হলে কোরআন পোড়ানোর ঘটনাটায় বলে দিচ্ছে সেদিন ওই ঘটনাটাও পূর্বপরিকল্পিত ছিল। এটা একটি জঘন্যতম কাজ।
প্রসঙ্গত, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শহীদ জিয়াউর রহমান হল, সৈয়দ আমীর আলী হল, শহীদ হবিবুর রহমান, শাহ মখ্দুম হল, মাদার বখ্শ হল ও মতিহার হলে রাতের আঁধারে পবিত্র কোরআন পুড়িয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) মোহা. ফরিদ উদ্দিন খানকে আহবায়ক করে ৯ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কমিটিকে অনধিক সাত কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।