সীমান্ত হত্যা ও ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে জাবিতে বিক্ষোভ মিছিল
- জাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:৩৪ AM , আপডেট: ০৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:৪২ AM
ভারতীয় বাহিনী দ্বারা সীমান্তে হত্যা ও ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখা। মঙ্গলবার (০৭ জানুয়ারি) রাত ৮টায় বটতলা থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন তারা। সমাবেশ সঞ্চালনা করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জাবি শাখার সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ইমরান শাহরিয়ার।
সমাবেশে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন জাবি শাখার আহ্বায়ক আরিফুজ্জামান উজ্জ্বল বলেন, 'শুধু ফেলানি হত্যা নয়, এরকম শত শত হত্যার বিচার বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার করে নাই। ফলে বাংলাদেশে বিচারহীনতার সংস্কৃতি সৃষ্টি হয়েছে। আমরা আগামীদিনে সীমান্তে আর কোন হত্যাকাণ্ড দেখতে চাইনা।'
তিনি আরও বলেন, 'নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে ভারত বাংলাদেশের উপর সবসময় আধিপত্যবাদী মনোভাব দেখিয়েছে। আমরা ছাত্রজনতার আন্দোলনের মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট সরকারকে বিদায় করেছি। ফ্যাসিস্ট আমলের পররাষ্ট্রনীতি ছুড়ে ফেলতে হবে।তাহলে ভারত আর এই আধিপত্যবাদী মনোভাব দেখাতে পারবে না। আজকে আমরা ফেলানি হত্যার জন্য দাঁড়িয়েছি। আর যেন কোন ভাই-বোনের জন্য দাঁড়াতে না হয়।
সংগঠনটির জাবি শাখার সদস্য সচিব তৌহিদ মোহাম্মদ সিয়াম বলেন, 'চব্বিশের আন্দোলন শুধু হাসিনার বিরুদ্ধে লড়াই ছিল না, ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধেও ছিল। গত ৫ আগস্ট হাসিনার পতনের মধ্য দিয়ে আমরা ভারতীয় আধিপত্যবাদের গালে চপেটাঘাত করেছি। স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, ভারত সরকার যদি এখনও বাংলাদেশকে তার অঙ্গরাজ্য মনে করে, তাহলে তাদের এর উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে।'
তিনি আরও বলেন, 'বিগত সরকারের আমলে যতগুলো চুক্তি হয়েছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সেগুলো জনগণের সামনে আনতে হবে। সীমান্তে প্রত্যেকটি হত্যার বিচার করতে হবে। তা নাহলে বাংলাদেশের মানুষ আবার ফুঁসে উঠবে।'
সংগঠনটির জাবি শাখার মুখপাত্র মালিহা নামলাহ বলেন, '২০১১ সালে ভারতীয় সীমান্তে ফেলানীকে হত্যা করা হয়। আর আজকে ২০২৫ সাল। ১৩ বছরে একটি হত্যার বিচার হয় না। আমরা প্রতিনিয়তই দেখি সীমান্তে হত্যা হচ্ছে। কিছুদিন আগেও সীমান্তে একজনকে হত্যা করা হয়েছে। এই ধরনের ঘটনা রোজই ঘটে। কারণ এই ঘটনাগুলো নিয়ে রাষ্ট্রের টনক নড়ে না। রাষ্ট্র কোনো ধরনের উদ্যোগ নেয় না।'
তিনি আরও বলেন, 'ফেলানী হত্যার বিচার যদি সেদিন হতো, তাহলে পরবর্তীতে আর কোনো সীমান্ত হত্যা হতো না। এই স্বাধীন বাংলাদেশে দাঁড়িয়ে আমরা আশা করি বিগত সব হত্যার বিচার করা হবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে ভারতকে এমন একটি বার্তা দেওয়া হবে যেন বাংলাদেশের কোনো মানুষকে তারা আর হত্যা করার সাহস না পায়।