৭ জানুয়ারি উপলক্ষ্যে ঢাবিতে ‘ডামি নির্বাচন’ আয়োজন
- ঢাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০৩:৫২ PM , আপডেট: ০৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০৪:০০ PM
২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি শেখ হাসিনা সরকারের ‘ডামি নির্বাচন’ দিবস উপলক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রদর্শনী ও ভোট প্রদান প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময় ‘যত ভোট তত নোট’ স্লোগান দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ডামি নির্বাচনে ভোট প্রদান করেন। ভোট প্রদানের পূর্বে ভোটারদের ‘নমুনা’ টাকা দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহাসিক বটতলায় গত ৭ জানুয়ারিতে খুনি হাসিনার ‘ডামি নির্বাচন’ প্রদর্শনী ও ভোটদান প্রতিযোগিতা শীর্ষক কর্মসূচি পালন করে ঢাবির একটি অরাজনৈতিক সংগঠন, ঢাকা ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্টস রাইটস ওয়াচ।
এই ডামি নির্বাচনের স্লোগান ছিল ‘৭ তারিখ সারাদিন, নৌকা মার্কায় ভোট দিন' এবং ‘যত ভোট' তত নোট'।
সরেজমিনে দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা প্রিজাইডিং অফিসার ও রিটার্নিং অফিসার সেজে নির্বাচন পরিচালনা করেন। অন্য শিক্ষার্থীরা ভোটার, কেউ বা আওয়ামী লীগ নেতা হিসেবে অংশ নেন। নির্বাচনে প্রকাশ্যে লাইনে দাঁড়িয়ে নৌকা মার্কায় ভোট দিতে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের। এক মিনিটে নৌকা মার্কায় সবচেয়ে বেশি ভোট দেওয়া শিক্ষার্থীকে পুরস্কৃত করার ঘোষণা দেওয়া হয়। ভোট দেওয়ার জন্য ‘ডামি টাকা’ দিতে দেখা যায়, যা দেওয়া হয় ‘ডামি আওয়ামী লীগ নেতাদের’ মাধ্যমে।
বিশেষ দৃশ্য হিসেবে প্রদর্শনীতে শিশু, কাফনে মোড়ানো মৃত ব্যক্তি, ও এক ব্যক্তির একাধিকবার ভোট দেওয়ার মতো বিষয়গুলোও উঠে আসে।
আয়োজকরা জানান, ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে শেখ হাসিনা একটি ডামি নির্বাচনের আয়োজন করে। এতে বৃহৎ রাজনৈতিক দলগুলো ভোট বর্জন করলেও নির্বাচন সম্পন্ন করা হয়। খুব কম সংখ্যক ভোট প্রদান হলেও নির্বাচন কমিশন জানায় প্রায় ৪০ শতাংশ মানুষ ভোট প্রদান করেছে।
আয়োজকদের অন্যতম মুসাদ্দিক আলী ইবনে মোহাম্মদ বলেন, গত বছর বাংলাদেশের জনগণ ভোট দিতে পারেনি। বাংলাদেশের মানুষ সেই সময় কোন ধরনের পরিস্থিতিতে ছিল সেটাই আমরা দেখানোর চেষ্টা করছি।
সমন্বয়ক মাহিন সরকার বলেন, আজকের এই ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে স্বৈরাচারী সরকারকে লাল কার্ড দেখানো হয়েছে যেন ভবিষ্যতে এরকম ঘটনা আর ঘটতে না পারে।
এসময় নির্বাচন কেন্দ্রের পাশে বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড টানানো অবস্থায় দেখা যায়। প্ল্যাকার্ড গুলোতে ভোট কার্যালয়ে ভোট সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়েছে, দশটা হোন্ডা- দশটা গোন্ডা- নির্বাচন ঠান্ডা, ষোল কোটি মানুষের একটাই ডিসিশন-জিতবে নৌকা নাই কোন ওপজিশন, আপনার বাবারও ভোট হয়ে গেছে-কিন্তু বাবা তো মৃত ইত্যাদি লেখা ছিল।