তরুণদের সংগ্রাম ও আত্মত্যাগ আমাদের অনুপ্রাণিত করেছে: জাতিসংঘের হাইকমিশনার
- ঢাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২৯ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৪৩ PM , আপডেট: ২৯ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৪৩ PM
বাংলাদেশে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সমন্বয়ক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে এক মতবিনিময় সভা করেছেন জাতিসংঘের (ইউএন) মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক। মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবার) বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে ওই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘বাংলাদেশের তরুণদের সংগ্রামের সাহসিকতা এবং আত্মত্যাগ আমাদের অনুপ্রাণিত করেছে। এই তরুণদের যাত্রাপথের সঙ্গী হতে এবং সমর্থন করতে আমরা প্রস্তুত। তথ্য অনুসন্ধান বা ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশনের মাধ্যমে তরুণদের সঙ্গে ইতোমধ্যে আমাদের যাত্রা শুরু হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সামনে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি দীর্ঘস্থায়ীভাবে মোকাবিলা করা এবং রাষ্ট্রীয় প্রধান প্রতিষ্ঠানগুলো সংস্কারের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। মানবাধিকারের ওপর ভিত্তি করে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া কার্যকর করতে হবে। মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় সাংবাদিক, শ্রমজীবী, সমাজকর্মী এবং অন্যান্য মানবাধিকার রক্ষকদের নির্বিঘ্নে এবং স্বাধীনভাবে কাজ করার জন্য একটি উন্মুক্ত পরিবেশ প্রয়োজন। বাংলাদেশের তরুণদের সংগ্রামের সাহসিকতা এবং আত্মত্যাগ আমাদের অনুপ্রাণিত করেছে। এই তরুণদের যাত্রাপথের সঙ্গী হতে এবং সমর্থন করতে আমরা প্রস্তুত। তথ্য অনুসন্ধান বা ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশনের মাধ্যমে তরুণদের সঙ্গে ইতোমধ্যে আমাদের যাত্রা শুরু হয়েছে।’
এসময় ভলকার তুর্ক মানবাধিকারের দৃষ্টিকোণ থেকে প্রতিষ্ঠান নির্মাণ, নাগরিক অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা, জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ এবং উত্তরণের প্রক্রিয়াগুলোতে অন্তবর্তীকালীন সরকারকে সহায়তার কথাও জানান।
ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সংঘটিত জুলাই-আগস্টের নৃশংস ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করতে বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতোমধ্যেই একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনতে এই তদন্ত কমিটি জাতিসংঘের তথ্যানুসন্ধান দলকে সম্ভাব্য সকল সহযোগিতা প্রদান করবে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে ছাত্র আন্দোলনের এপি সেন্টার হিসেবে উল্লেখ করে উপাচার্য বলেন, ‘এই আন্দোলনের সমন্বয়কারী ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়েই আমরা নতুন বাংলাদেশ গড়ার কাজে এগিয়ে যেতে চাই। মানবাধিকার ও মানবিক মূল্যবোধ সমুন্নত রাখতে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ। জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সম্মান ও মর্যাদা রক্ষায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জুলাই বিপ্লব কর্ণার স্থাপন করা হবে। এছাড়া আয়োজন করা হবে একাডেমিক সম্মেলন ও কর্মশালা।’
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদসহ ঢাকাস্থ জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী কার্যালয়ের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে তরুণদের আঁকা দেয়াল লিখন ও গ্রাফিতি পরিদর্শ জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় তরুণদের আঁকা দেয়াল লিখন ও গ্রাফিতি পরিদর্শন করেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক এই হাইকমিশনার।