স্বাধীনতা দিবসে বিশেষ খাবার পাচ্ছেন রাবির আবাসিক শিক্ষার্থীরা

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের লোগো
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের লোগো  © ফাইল ছবি

স্বাধীনতা দিবসে স্বল্পমূল্যে বিশেষ খাবার পেতে যাচ্ছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীরা। বিষয়টি নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাধ্যক্ষ পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. একরামুল ইসলাম জানান, "অন্যান্য বছরগুলোর মতো এবারও স্বাধীনতা দিবসে হলগুলোতে বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা থাকছে।

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭টি আবাসিক হলের শিক্ষার্থীদের মাঝে এ খাবার বিতরণ করা হবে।

শিক্ষার্থীরা হল থেকে আইডি কার্ডের মাধ্যমে স্বল্পমূল্যে টোকেন সংগ্রহ করে খাবার নিতে পারবেন। খাবার হিসেবে দেওয়া হবে রোস্ট, পোলাও, ডিম, মুগের ডাল, দুটো খেজুর ও ড্রিংকস। বিশেষ এ খাবারের টোকেন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ টাকা।"

স্বাধীনতা দিবসে সাধারণত দুপুরের খাবার দেওয়ার রেওয়াজ আছে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে; এবার রমজানের কারণে গত বছরের ন্যায় সন্ধ্যায় খাবার দেওয়া হবে।

এদিকে আবাসিক শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি অনাবাসিকদের জন্যও বিশেষ খাবারের ব্যবস্থার দাবী জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনগুলো। বুধবার (২০ মার্চ) সাংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ দাবি জানান তারা।

যৌথ বিবৃতিতে তারা বলেন, হল প্রশাসন স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে শুধু আবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্যে বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা করে থাকে। এমন বৈষম্যমূলক আচরণে প্রশ্ন উঠে আসে তাহলে স্বাধীনতা দিবস কি শুধু আবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্য? অন্যদিকে অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের আবাসিকতা না পাওয়াটা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনেরই ব্যর্থতা।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে যৌথভাবে বিবৃতি দেন রাবি শাখা সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের আহ্বায়ক ফুয়াদ রাতুল, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি শাকিল হোসেন, ছাত্র ইউনিয়নের আহ্বায়ক জান্নাতুল নাঈম, নাগরিক ছাত্র ঐক্যের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মেহেদী হাসান মুন্না, বিপ্লবী ছাত্র-যুব আন্দোলনের আহ্বায়ক তারেক আশরাফ, বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক সমু চাকমা এবং ছাত্র গণমঞ্চের সমন্বয়ক নাসিম সরকার।

আরও পড়ুন: পেনশনসংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন বৈষম্যমূলক: রাবি শিক্ষক সমিতি

এ প্রসঙ্গে প্রাধ্যক্ষ পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. একরামুল ইসলাম বলেন, "এখানে খাবারের চেয়ে বড় বিষয়টি হলো হলের শিক্ষার্থীরা, যারা একসাথে থাকছে তাদের মধ্যে একটি উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়। হল সমাপনীতে কিন্তু অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্যও খাবারের ব্যবস্থা রাখা হয়। তবে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন নতুন হল তৈরি হচ্ছে; আবাসন সংকট কেটে গেলে এই দাবিগুলো আর থাকবে না।"


সর্বশেষ সংবাদ