৭ জানুয়ারির নির্বাচনের বিরুদ্ধে ঢাবিতে শিক্ষার্থীর একক অবস্থান কর্মসূচি

চার দফা দাবিতে একক অবস্থান কর্মসূচি পালন ঢাবি শিক্ষার্থীর
চার দফা দাবিতে একক অবস্থান কর্মসূচি পালন ঢাবি শিক্ষার্থীর  © টিডিসি ফটো

আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জনসহ চার দফা দাবিতে একক অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক শিক্ষার্থী। আজ শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকাল ৪টা থেকে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এ অবস্থান কর্মসূচি পালন শুরু করেন তিনি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত  এই কর্মসূচি পালন করবে বলে জানান ওই শিক্ষার্থী।

কর্মসূচিতে বসা ওই শিক্ষার্থীর নাম আকাশ বিশ্বাস। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ২০২২-২৩ সেশনের ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী।

তার চারদফা দাবিগুলো হলো- একদলীয় সরকারের অধীনে ৭ জানুয়ারির প্রহসনের নির্বাচন বর্জন করে নির্দলীয় সরকার গঠন করতে হবে ও সার্বজনীন ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে; জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে গণতান্ত্রিকভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের সাংবিধানিক প্রক্রিয়া চালু করতে হবে; গুম, খুন, নির্যাতনের বিচার করতে হবে ও শ্রমিকের ন্যায্য মজুরি দিতে হবে। সকল নাগরিকের নাগরিক অধিকার ও মানবিক মর্যাদা নিশ্চিত করতে হবে; রাষ্ট্র ও বিশ্ববিদ্যালয়ে গণতান্ত্রিক পরিসর সংকোচন বন্ধ করতে হবে। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে।

অবস্থান কর্মসূচি পালন করা ওই শিক্ষার্থী দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশের জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। আবারও একই রকম একটি নির্বাচন সামনে হতে যাচ্ছে যেখানে বাংলাদেশের নাগরিকদের গণতান্ত্রিক অধিকার পুনর্বার ভূলুণ্ঠিত হবে। আওয়ামী লীগের অধীনে এই ডামি নির্বাচনের প্রতি নাগরিকদের কোনো আস্থা নেই। এই নির্বাচন বাংলাদেশের ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থাকে আরো দীর্ঘায়িত করবে। তাই আমি এই নির্বাচনকে বর্জন করে নির্দলীয় সরকারের অধীনে একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন প্রত্যাশা করছি। 

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫২ বছর পার হলেও আমাদের রাষ্ট্র ও রাজনৈতিক ব্যবস্থা ক্ষমতা হস্তান্তরের কোনো গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি। সংবিধানেই এক ব্যক্তিকেন্দ্রীক ও এক দলীয় শাসন কাঠামোর বীজ বপন করা আছে। তাই একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে ক্ষমতা হস্তান্তরের সাংবিধানিক প্রক্রিয়া চালু করতে হবে।

তিনি বলেন, সাইবার নিরাপত্তা আইনের মাধ্যমে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু আমরা এমন একটা রাষ্ট্র চাই যেখানে নাগরিকরা নির্ভয়ে কথা বলতে পারবে। তাই রাজনৈতিক পরিসর সংকোচনের চক্রান্ত বন্ধ করতে হবে এবং সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিল করতে হবে। রাষ্ট্র ও বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের হিস্যা ও প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে হবে


সর্বশেষ সংবাদ