সৌজন্যতার সাথেই ওই ছাত্রীর ভাইভা নেওয়া হয়েছিল: অধ্যাপক অহিদুজ্জামান

অধ্যাপক ড. এম অহিদুজ্জামান
অধ্যাপক ড. এম অহিদুজ্জামান  © ফাইল ছবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইআর) তৃতীয় বর্ষের ভাইভা বোর্ডে নিকাব ও হিজাব পরিহিত ছাত্রীকে হেনস্তার অভিযোগ অস্বীকার করে অধ্যাপক ড. এম অহিদুজ্জামান বলেছেন, সৌজন্যতার সাথেই ওই ছাত্রীর ভাইভা নেওয়া হয়েছিল। তাছাড়া একমাস আগের ঘটনা এতদিন পর কেন নতুন করে আলোচনায় সেটিও তার বোধগাম্য নয় বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

আজ বুধবার (৩০ আগস্ট) রাতে নিজের ফেসবুক আইডিতে ‘অধ্যাপক ড. এম অহিদুজ্জামান এর বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের জবাব’ শীর্ষক এক স্ট্যাটাসে বিষয়টি জানিয়েছেন এই অধ্যাপক।

অধ্যাপক ড. এম অহিদুজ্জামান বলেন, আমার কোন শিক্ষার্থী এই অভিযোগ করতে পারে আমি এটা বিশ্বাস করি না! কারণ ৩১ জুলাই আমার ভাইভা বোর্ডে কোন ছাত্রী হেনস্থার স্বীকার হয়নি। সেখানে পর্দার পক্ষে কিংবা বিপক্ষে কোন কথায়ই হয়নি। একজন শিক্ষার্থী সম্পূর্ণ আচ্ছাদিত ছিলো। তখন পরীক্ষার নিয়ম অনুযায়ী তার মুখের কাপড়টা সরানোর জন্য বলা হয়েছিল। তাকে বুঝিয়ে বলার পরে সে সেটি করেছে। অতঃপর অত্যন্ত সৌজন্যতার সাথেই তার ভাইভা নেওয়া হয়েছিল। 

এতদিন পরে এটা নতুন করে আলোচনায় আনা এবং বিকৃতভাবে সংবাদ তৈরি করা হয়েছে দাবি করে এই অধ্যাপক আরও বলেন, এর মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করা হয়েছে। যেটি সম্পূর্ণভাবে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত।

প্রসঙ্গত, গত ২৮ আগস্ট দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসে ‘ঢাবিতে এবার ছাত্রীদের নেকাব খুলে ভাইভা নেওয়ার অভিযোগ’ শীর্ষক এক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। সেখানে ওই ইনস্টিটিউটের ভাইভা বোর্ডে নেকাব না খোলায় হেনস্তার শিকার হওয়ার অভিযোগ উঠে অধ্যাপক ড. এম অহিদুজ্জামানের বিরুদ্ধে। 

এদিকে আজ দুপুরে ভাইভা বোর্ডে নিকাব ও হিজাব পরিহিত শিক্ষার্থীদের হেনস্তার অভিযোগে ‘সাধারণ শিক্ষার্থীদের’ ব্যানারে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে। রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে সমাবেশ শেষে আয়োজকরা উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামানের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন। উপাচার্য বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানা গেছে।


সর্বশেষ সংবাদ