ঢাবির শামসুন্নাহার হলে সাপ উদ্ধার
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৩, ১২:৪২ AM , আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২৩, ১২:৪২ AM
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শামসুন্নাহার হলে ব্রাহ্মণী দুমুখো প্রজাতির সাপ পাওয়া গিয়েছে। শুক্রবার (৭ জুলাই) রাত ১১ টার দিক হলটির বর্ধিত ভবনের ১০০৫ নম্বর রুম থেকে সাপটি উদ্ধার করা হয়।
ঘটনাটির বিষয়ে সে রুমে থাকা শিক্ষার্থী বলেন, আমি বারান্দায় দাড়িয়ে এমন সময় এই সাপটি বের হয়। সাপটির গায়ের রং দেখে আমি নিশ্চিত হই যে সাপ। সাপটি দেখেই দাদুকে (হলের স্টাফ) ডেকে নিয়ে আসি। উনি এসে দেখে বললেন এটি সাপ। তারপর সাপটি মারলেন এবং বললেন এটি দুমুখো বিষধর সাপ। এরপর দাদু সাপটি বেলচায় নিয়ে দূরে ফেলে দিয়েছে।
উইকিপিডিয়া সূত্রে জানা যায়, এ সাপ দেখতে অনেকটা কেঁচোর মতো। একে অনেক জায়গায় মাটিসাপ ও বলা হয়। ব্রাহ্মণী দুমুখো সাপ দেখতে কেঁচোর মতো হলেও, এদের নলাকার দেহে খণ্ডায়ন থাকে না। এরা দৈর্ঘ্যে ৬ থেকে ১৭ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে। এদের ত্বক রুপালি ধূসর বর্ণের হয়ে থাকে আবার ঈষৎ বাদামিও হতে পারে। এদের মাথা ও ঘাড় সুস্পষ্টভাবে পৃথক নয়। এদের চক্ষু ক্ষুদ্রাকার, বিন্দুবৎ এবং আলোকসংবেদী।
ব্রাহ্মণী দুমুখো সাপ নিশাচর। সাধারণত মাটির নিচে থাকতে পছন্দ করে। খাদ্য হিসেবে এরা বিভিন্ন প্রজাতির অমেরুদণ্ডী প্রাণী, লার্ভা, পিউপা ইত্যাদি খেয়ে থাকে। এরা প্রজনন মৌসুমে ডিম পাড়ে। ডিম ফুটে পার্থনোজেনেসিস পদ্ধতিতে প্রজনন ঘটে।