ঢাবির পরীক্ষায় অংশ নিতে কেন্দ্রে আসছেন ভর্তিচ্ছুরা

ঢাবির পরীক্ষায় অংশ নিতে কেন্দ্রে আসছেন ভর্তিচ্ছুরা
ঢাবির পরীক্ষায় অংশ নিতে কেন্দ্রে আসছেন ভর্তিচ্ছুরা  © টিডিসি ফটো

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের আন্ডারগ্রাজুয়েট (স্নাতক) প্রোগ্রামের কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে কেন্দ্রে আসতে শুরু করেছেন ভর্তিচ্ছু পরীক্ষার্থীরা। শনিবার (৬ মে) সকাল ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ঢাবি এবং দেশের সাতটি বিভাগীয় পর্যায়ের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে একযোগে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

সরেজমিনে ঢাকা কলেজ কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, ঝামেলা এড়াতে নির্ধারিত সময়ের অনেক আগেই কেন্দ্রের সামনে শিক্ষার্থী অভিভাবকের অপেক্ষা করছেন। নির্ধারিত প্রক্রিয়া মেনে প্রবেশ করানো হচ্ছে পরীক্ষার্থীদের। কেউ যেন বিশ্ববিদ্যালয় নির্দেশিত কোন নিয়মের ব্যাঘাত ঘটাতে না পারেন সেদিকে রাখা হচ্ছে কঠোর নজরদারি।

ঢাকা কলেজ কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সহযোগী অধ্যাপক ওবায়দুল করিম বলেন, প্রার্থী কোনো অবস্থাতেই পরীক্ষার্থীরা মোবাইল ফোন, ক্যালকুলেটর, বই ও কাগজপত্র (প্রবেশপত্র ছাড়া), ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস সংবলিত ঘড়ি ও কলম, ভিসা/মাস্টার কার্ড/এটিএম কার্ড ইত্যাদি নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না।

আরও পড়ুন: ঢাবির কলা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা আজ, প্রতি আসনে লড়বে ৪২ জন

তিনি বলেন, কঠোর তলাশী নিশ্চিত করেই পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে। তাছাড়া করোনা বিবেচনায় স্বাস্থ্যবিধি মানাতেও নজর দিচ্ছি আমরা। আশা করি সুষ্ঠু সুন্দর পরিবেশে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

এছাড়া রাজধানী ঢাকার অন্যন্য কেন্দ্রগুলোতেও একই পরিস্থিতি বিরাজ করছে। ঢাকার বাইরে বিভাগীয় শহরের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যেসব কেন্দ্র রয়েছে সেগুলোর অবস্থাও একই। স্বাভাবিক পরিবেশের মধ্যে ভর্তিচ্ছুরা কেন্দ্রে প্রবেশ করছেন এবং তাদের আসনে বসছেন। পরীক্ষা শুরুর আগে এখন পর্যন্ত কোনো কেন্দ্র থেকে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর খবর পাওয়া যায়নি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটে মোট আবেদন পড়েছে ১ লাখ ২২ হাজার ৮৮২টি। এই ইউনিটে প্রতিটি আসনের জন্য লড়াই করবেন প্রায় ৪২ জন শিক্ষার্থী।

কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটে মোট আসন সংখ্যা ২ হাজার ৯৩৪টি। এর মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য ৯০৮টি, মানবিক ও বাণিজ্য বিভাগের শিক্ষার্থীদের যথাক্রমে জন্য ১ হাজার ৭৪৪টি ও ২৮২টি আসন বরাদ্দ রয়েছে। কলা ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষায় ৬০ নম্বরের এমসিকিউ এবং ৪০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হবে।

আর এমসিকিউ পরীক্ষা ৪৫ মিনিট এবং লিখিত পরীক্ষা ৪৫ মিনিট অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বা সমমানের ফলাফলের (জিপিএ) ওপর ২০ নম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে। মোট ১২০ নম্বরের ভিত্তিতে পরীক্ষার্থীদের মেধা তালিকা তৈরি করা হবে।


সর্বশেষ সংবাদ