মানুষ পরাজয়ের জন্য জন্মায় না: রাবি উপাচার্য
- রাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৯:৩৪ PM , আপডেট: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৯:৩৪ PM
মানুষ পরাজয়ের জন্য জন্মায় না। তোমরা এখানে এসেছো জেতার জন্য। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা গ্রহণ করে বিজয়ী হওয়ার জন্য সামনের দিকে এগিয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালযয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার। তিনি বলেন, শিক্ষার্থী যখন জ্ঞান-গরিমায় শিক্ষককে ছাড়িয়ে যায় তখন একজন শিক্ষক প্রকৃতভাবে গর্বিত হয়। আমি সেই গর্বিত হওয়ার দিনের অপেক্ষায়।
আজ বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সুখরঞ্জন সমাদ্দার ছাত্র-শিক্ষক মিলনায়তনে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের (২০২২-২৩) শিক্ষাবর্ষের নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ ও (২০১৬-১৭) সেশনের শিক্ষার্থীদের বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আরও বলেন, তরুণ আর তারুণ্যই হল সবচেয়ে বড় শক্তি উল্লেখ করে উপাচার্য বলেন, তোমাদের এই শক্তিকে কাজে লাগিয়ে নিজেদেরকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে। বর্তমান পৃথিবী প্রতিযোগিতামূলক। তোমরা যদি এই প্রতিযোগিতামূলক পৃথিবীর সঙ্গে তাল মিলিয়ে পাল্লা দিতে চাও, তাহলে তোমাদেরকে যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। এই যোগ্যতা অর্জনের জন্য তোমাদের জ্ঞান আহরণের কোনো বিকল্প নাই।
আরও পড়ুন: কালো কাপড়ে ঢেকে দেওয়া হল চবি রেজিস্ট্রারের নামফলক
বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. কবির উদ্দিন হায়দারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. ইলিয়াছ হোসেন, সমাজকর্ম বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক মু আবু বকর সিদ্দিক ভূঁইয়া, অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক মো.জালাল উদ্দিন এবং রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. আনিসুর রহমান।
অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে অতিথিবৃন্দ বিভাগের নবীন শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ ও বিদায়ী শিক্ষার্থীদের স্মারক প্রদান করেন। অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক ড. শরিফুল ইসলাম। এছাড়া আরো বক্তব্য রাখেন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. রবিউল ইসলাম।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ইলিয়াস হোসাইন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠে তোমরা যারা পড়তে এসেছো তাদের রয়েছে জ্ঞানচর্চার উন্মুক্ত অবকাশ এবং স্বাধীন চিন্তা বিকাশের অবাধ সুযোগ। একাডেমিক বিষয়ে অর্জিত জ্ঞানকে নিরন্তর সাধনা ও পঠন-পাঠনের মাধ্যমে নিজেদেরকে পরিশীলিত করে গবেষণাকর্মের পাশাপাশি সমাজগঠনমূলক কাজের মধ্য দিয়ে দেশ ও জাতির সার্বিক উন্নতিতে অগ্রণী ভূমিকা রাখার বিষয়ে আলোকপাত করেন তিনি।
দিনব্যাপী আয়োজনের দ্বিতীয় পর্বে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এই আয়োজনের সমাপ্তি ঘটে।