বিদেশে ছুটিতে থাকা ঢাবির আইবিএ শিক্ষকের পদত্যাগ
- ঢাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২২ অক্টোবর ২০২২, ০৮:০২ PM , আপডেট: ২৩ অক্টোবর ২০২২, ০৯:৩৮ PM
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ব্যবসায় শিক্ষা প্রশাসনের (আইবিএ) সহকারী অধ্যাপক ক্ষণিকা গোপ স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন। বিনা ছুটিতে ক্ষণিকার বিদেশে অবস্থানের বিষয়ে দেশের শীর্ষস্থানীয় একটি জাতীয় দৈনিকে সংবাদ প্রকাশিত হলে তিনি আইবিএর পরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুল মঈন বরাবর ই-মেইলের মাধ্যমে পদত্যাগ পত্র জমা দেন। তবে তার পদত্যাগের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি বলে জানা গেছে।
ক্ষনিকা গোপকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর গত ১৮ অক্টোবর বিকেল তিনটায় অনুষ্ঠিত ইন্সটিটিউটের একাডেমিক কমিটির সভায় বিষয়টি উত্থাপন করেন ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুল মোমেন। সভায় একজন শিক্ষক প্রস্তাব করেন যদি তার বিরুদ্ধে করা সংবাদ সত্য হয় তাহলে ক্ষণিকা গোপের বিরুদ্ধে ইনস্টিটিউটের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হোক। আর যদি মিথ্যা হয় তাহলে ওই সংবাদপত্রকে প্রতিবাদলিপি দেওয়া হোক।
এর আগে গত ১৬ অক্টোবর দেশের শীর্ষস্থানীয় একটি জাতীয় পত্রিকায় বিনা ছুটিতে ওই শিক্ষকের বিদেশে অবস্থানের বিষয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত সংবাদের কোনো প্রতিবাদ না করে দু'দিনের মধ্যেই পদত্যাগ করেন ওই শিক্ষক। ফলে স্বাভাবিকভাবেই অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি পান তিনি।
আরও পড়ুন: ‘সেকেন্ড টাইম’ ইস্যুতে কথা বলতে চান না ঢাবি ভিসি
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাডেমিক কমিটির আরেকজন সদস্য বলেন, তিনি নিজেই পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। পরে শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে তার কোর্সটি অন্য একজন শিক্ষককে দেওয়ার জন্য সুপারিশ করেছি। ওইদিনের সভায় একজন শিক্ষক ক্ষণিকা গোপের বিরুদ্ধে করা সংবাদের বিপক্ষে আইবিএ’র শিক্ষকদের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিবাদলিপি দেয়ার প্রস্তাব তোলেন। কিন্তু সভার বাকি সদস্যরা এ প্রস্তাব নাকচ করে দেন।
সামগ্রিক বিষয়ে জানতে আইবিএর পরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুল মঈনকে ক্ষুদে বার্তা ও একাধিক বার ফোন দেওয়া হলেও তিনি এ বিষয়ে তার থেকে কোনো ধরনের প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
সম্প্রতি আইবিএর শিক্ষক ক্ষণিকা গোপের বিরুদ্ধে বিনা ছুটিতে ৩৫৫ দিনের অধিক সময় বিদেশে অবস্থানের বিষয়টি জানাজানি হলে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। বিষয়টি নিয়ে এর আগে ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বরাবর বেনামি চিঠিও প্রেরণ করা হয়। এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, এই বিষয়ে আমি একটা নিউজ দেখেছি। কি অবস্থায় আছে সেটা দেখতে হবে।