৩৭ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি নেই, প্রো-ভিসি নেই ৮১টিতে

লোগো
লোগো  © ফাইল ছবি

দেশের ৩৭টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে ভিসি নেই। প্রো-ভিসি নেই ৮১টিতে। আর ট্রেজারার ছাড়াই চলছে ৪৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সূত্র বলছে, এসব বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অনিয়ম করতেই বছরের পর বছর শীর্ষ এসব পদ ফাঁকা রাখছে। তবে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে সবগুলো বিশ্ববিদ্যালয়কে আইন মেনে চলার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।

ইউজিসির একাধিক কর্মকর্তা জানান, নিয়মিত বৈধ ভিসি ও ট্রেজারার না থাকলে অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে অনিয়মে সুবিধা হয়। এ কারণে অনেক বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ চ্যান্সেলর অনুমোদিত ভিসি নিয়োগে বিলম্ব করে দিনের পর দিন ভারপ্রাপ্ত ভিসি দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পারিচালনা করে। কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে আবার ট্রেজারার পদে ট্রাস্টি বোর্ড সদস্যদের আত্মীয়স্বজনই দিব্যি বসে আছেন।

উপাচার্য নেই এমন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় রয়েছে- ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি চিটাগং, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, ইউনিভার্সিটি অব সাউথ এশিয়া, ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সায়েন্সেস, প্রাইমএশিয়া ইউনিভার্সিটি, আশা ইউনিভার্সিটি, ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটি।

এ তালিকায় আরও রয়েছে- বরেন্দ্র ইউনিভার্সিটি, সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি, চিটাগং ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, জার্মান ইউনিভার্সিটি, গ্লোবাল ইউনিভার্সিটি, ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব স্কলার্স, এনপিআই ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি, সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, রবীন্দ্র সৃজনকলা বিশ্ববিদ্যালয়সহ আরও কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়।

আরও পড়ুন: এবার ইস্ট ওয়েস্টে ভিসির দায়িত্ব পেলেন বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক

আর ভিসি, প্রো-ভিসি ও ট্রেজারার কেউ নেই—এমন বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় রয়েছে- দ্য পিপলস ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি, ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি, ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটি, চিটাগং ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, এনপিআই ইউনিভার্সিটি, সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, রবীন্দ্র সৃজনকলা বিশ্ববিদ্যালয়সহ আরও কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়। 

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১০ অনুযায়ী, একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৯ ধরনের কমিটি থাকতে হয়। এর মধ্যে তিনটি কমিটির সভাপতি থাকেন ভিসি। তিনটি কমিটিতে ভিসি মনোনীত শিক্ষক সভাপতি হন। আর বাকি তিনটি কমিটিতে সভাপতি থাকেন বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্যরা।

এই তিন কমিটিতেও সদস্য হিসেবে থাকেন ভিসি আর একটিতে ট্রেজারারের থাকার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সব আর্থিক লেনদেন পরিচালিত হয় ভিসি ও ট্রেজারারের স্বাক্ষরে। অথচ অনেক বিশ্ববিদ্যালয়েই ভিসি, প্রো-ভিসি ও ট্রেজারার না থাকলেও তারা তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। ফলে আর্থিকসহ নানা বিষয়ে অস্বচ্ছতা দেখা দিয়েছে।

ইউজিসির বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় দেখভালের দায়িত্বে থাকা কমিশন সদস্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ বলেন, এগুলোর প্রতিটি বিষয়েই ইউজিসি অবহিত। আইনের ভেতরে এগুলোর সমাধান করতে আমরা তাদের তাগাদা দিয়েছি। সবাইকে আইনের পথেই হাঁটতে হবে। আইনের ব্যত্যয় ঘটালে আমরা সেসব প্রতিষ্ঠানের নতুন কোর্স, কারিকুলাম অনুমোদন বন্ধ করে দেব। এর পরও কথা না শুনলে সেখানে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ করে দেব।


সর্বশেষ সংবাদ