বিএনপির মহাসচিবকে গ্রেফতারের ঘটনায় রাবি জিয়া পরিষদের নিন্দা
- রাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২৯ অক্টোবর ২০২৩, ০৬:৩০ PM , আপডেট: ২৯ অক্টোবর ২০২৩, ০৬:৫৬ PM
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে আটক করায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় জিয়া পরিষদ। তিনিসহ গ্রেফতারকৃতদের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানিয়েছেন তারা। এছাড়া গতকাল বিএনপি'র মহাসমাবেশে পুলিশ সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে দাবি করে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তারা।
রবিবার (২৯ অক্টোবর) বিকেলে সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক মোহা. এনামুল হক এবং সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. ফরিদুল ইসলাম প্রেরিত এক বিবৃতিতে তারা এ নিন্দা জানান।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, দীর্ঘদিন যাবত বিএনপির নেতৃত্বে এদেশের ডান-বাম মিলে মূলধারার রাজনৈতিক দলগুলো নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন ব্যবস্থার দাবিতে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করে আসছে। কোনো অবস্থাতেই সরকারের উস্কানীতে বিভ্রান্ত হয়ে সহিংসতার পথে হাটেনি। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন এখন এদেশের মানুষের প্রধান দাবিতে পরিণত হয়েছে। আর তাই সরকারের নানা ভয়ভীতিকে তোয়াক্কা না করে সারাদেশের লক্ষ লক্ষ মানুষ ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশে অংশ গ্রহণ করেন। এতে আতংকিত হয়ে ফ্যাসিবাদী সরকার নির্মমভাবে বিএনপির মহাসমাবেশ আক্রমণ করে এবং অত্যন্ত জঘন্যভাবে নিরীহ জনতাকে হতাহত করে। কোনো সভ্য সমাজে এমন ঘটনা মেনে নেয়া যায় না। এতে সরকারের পরাজয় ঘটেছে এবং প্রমাণিত হয়েছে সরকারের জনসমর্থন শূন্যের কোঠায়।
বিবৃতিতে শিক্ষকগণ উদ্বেগ প্রকাশ করে আরও বলেন, এ ধরণের অগণতান্ত্রিক ও ফ্যাসিস্ট আচরণের পরেও ফ্যাসিস্ট সরকার ভিন্নমতের মানুষের উপর অবিশ্বাস্য হয়রানি ও গ্রেফতার অভিযান চালাচ্ছে! ইতোমধ্যেই বিএনপির মহাসচিব সজ্জন রাজনীতিবিদ মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ অসংখ্য নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই এবং অবিলম্বে গ্রেফতারকৃতদের মুক্তির দাবি জানাচ্ছি।
বিবৃতিতে জিয়া পরিষদ নেতৃবৃন্দ বলেন: পৃথিবীর ইতিহাস সাক্ষী ফ্যাসিবাদী কায়দায় ভিন্নমতের মানুষের কণ্ঠরোধ করে কখনোই গণদাবিকে দাবিয়ে রাখা যায় না। আমরা অবিলম্বে সরকারের পদত্যাগ দাবি করছি এবং নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের অধীনে একটি অংশগ্রহণমূলক ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জোর দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায় জনরোষে সরকারের শোচনীয় পতন কেউ রুখতে পারবে না।
বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারী শিক্ষকবৃন্দের মধ্যে রয়েছেন অধ্যাপক হাবীবুর রহমান, অধ্যাপক মো. সাইফুল ইসলাম ফারুকী, অধ্যাপক এ.এন.এম. জাহাঙ্গীর কবীর, অধ্যাপক মো. ফরিদুল ইসলাম, অধ্যাপক মামুনুর রশীদ, অধ্যাপক গোলাম সাদিক, অধ্যাপক দিল আরা হোসেন, অধ্যাপক আমিনুল হক, অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম, অধ্যাপক মো. আব্দুল আলীম, অধ্যাপক ইফতিখারুল আলম মাসউদ, অধ্যাপক মাহবুবুল কবীর, অধ্যাপক আমীরুল ইসলাম, অধ্যাপক খালেকুজ্জামান, অধ্যাপক আল বাকি বরকতুল্লাহ।
অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা, অধ্যাপক মো. শামসুজ্জোহা এছামী, অধ্যাপক আওরঙ্গজীব মোহা. আব্দুর রহমান, ড. মোহাম্মদ আলী , অধ্যাপক সৈয়দ সারওয়ার জাহান লিটন, অধ্যাপক আজিজ আব্দুর রহমান, অধ্যাপক শাহানা পারভীন, ড. কুদরত-ই-জাহান, অধ্যাপক আরিফুল ইসলাম, অধ্যাপক জাহাঙ্গীর হোসেন বাবু, অধ্যাপক জহুরুল ইসলাম, এ. এইচ. এম. খুরশীদ আলম, অধ্যাপক আব্দুল মতিন, অধ্যাপক শামীমা নাসরীন সীমা, অধ্যাপক কামরুজ্জামান, অধ্যাপক জি.এম. শফিউর রহমান, অধ্যাপক হাসনাত কবির, অধ্যাপক নুরুল আলম, অধ্যাপক হাবিবুল ইসলাম, ড. আল আমীন সরকার প্রমূখ।