প্রশাসন ক্যাডারে প্রথম ফরহাদ

অনার্সের শেষ দিকে স্ত্রী বিসিএস প্রিলির বই কিনে দিয়েছিলেন, সেই থেকে শুরু

ফরহাদ হোসেন
ফরহাদ হোসেন  © সংগৃহীত

টানা দুই বিসিএসে সফল হতে না পারলেও এবার বাজিমাত করেছেন মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফরহাদ হোসেন। ৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফলে প্রশাসন ক্যাডারে প্রথম হয়েছেন তিনি। ফরহাদ জানান, অনার্সের শেষদিকে তার স্ত্রী বিসিএস প্রিলিমিনারির বই কিনে কুরিয়ারযোগে পাঠিয়েছিলেন। সেই থেকেই তার বিসিএসের পথচলা শুরু হয়।   

জানা যায়, ফরহাদের গ্রামের বাড়ি জামালপুর জেলায়। ছোটবেলা থেকেই মেধাবী ফরহাদ ২০১২ সালে কৈডোলা জাফরশাহী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও ২০১৪ সালে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষে তিনি ভর্তি হন মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (মাভাবিপ্রবি) টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে কর্মরত। এর আগে, ৪১তম ও ৪৩তম বিসিএসে অংশ নিয়েছেন তিনি।

ফরহাদ বলেন, অনার্সের শেষদিকে আমার স্ত্রী কুরিয়ারে বিসিএস প্রিলিমিনারির বই পাঠান। তখন আমার বিসিএস সম্পর্কে তেমন ধারণা ছিল না। বই খুলেই বুঝতে পারি, আমি পারব। তখন থেকেই শুরু করি বিসিএসের প্রস্তুতি। বিসিএসের পাশাপাশি ব্যাংকসহ অন্যান্য চাকরির প্রস্তুতিও নিয়েছি। ২০২০ সাল থেকেই ফেসবুক ব্যবহার বন্ধ রেখেছি। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে নিয়মিত টিউশনি করিয়েছি। নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির গণিত, পদার্থ, রসায়ন পড়াতে পড়াতে গণিত বিষয়ে  আলাদা প্রস্তুতির প্রয়োজন হয়নি। এই সাফল্যের পেছনে মা-বাবা, ভাই-বোন, প্রতিবেশী, বিশ্ববিদ্যালয়জীবনের শিক্ষক-সহপাঠী, অগ্রজ-অনুজ এবং কর্মক্ষেত্রের সহকর্মীদের নিরন্তর অনুপ্রেরণা, ভালোবাসা ও পাশে থাকার ভূমিকা ছিল অপরিসীম।

তিনি বলেন, বইয়ের মধ্যে আবদ্ধ থাকলে জীবন বোঝা যায় না। মানুষের সঙ্গে মিশতে হবে, আড্ডা দিতে হবে, গল্প-উপন্যাস পড়তে হবে। ভাইভা বোর্ডে আত্মবিশ্বাস ও কমিউনিকেশন স্কিল অনেক বড় বিষয়। বন্ধুদের সঙ্গে এক ঘণ্টা আড্ডা অনেক সময় পড়ার চেয়েও বেশি কার্যকর। নিয়মিত পত্রিকা পড়ার বিকল্প নেই। 

তিনি আরও বলেন, বিসিএস দীর্ঘমেয়াদি একটা প্রক্রিয়া। তাই বিকল্প প্রস্তুতি না থাকলে হতাশা চলে আসে। আমার পরিবার পাশে ছিল বলেই হতাশ হইনি। তবে বিসিএসের পেছনে না ছুটে বিকল্প পথও খোলা রাখা উচিত।   


সর্বশেষ সংবাদ