‘ঢাবিতে যাকে খুশি তাকে উপাচার্য নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে’

আলোচনা সভায় মুনিরউদ্দিন আহমেদ
আলোচনা সভায় মুনিরউদ্দিন আহমেদ  © সংগৃহীত

আগে যোগ্য শিক্ষকদের মধ্য থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য নিয়োগ দেওয়া হতো। কিন্তু এখন যাকে খুশি তাকে উপাচার্য করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন জাসদ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মুনিরউদ্দিন আহমেদ।

সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে শিক্ষা অধিকার দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। ১৯৮২-৯০–এর ছাত্র আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রনেতারা এ আলোচনা সভার আয়োজন করেন।

মুনিরউদ্দিন আহমেদ বলেন, আজ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্য কারা? ৭৩–এর অধ্যাদেশে কী ছিল? আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনপ্রিয় শিক্ষকদের মধ্যে ভোট হতো। এরপর তিনজন শিক্ষকের নাম যেত। তাদের মধ্যে একজনকে রাষ্ট্রপতি উপাচার্য করতেন। এখন যাঁকে খুশি তাঁকে উপাচার্য নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, এখন বুয়েটে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কী হচ্ছে, শাহজালালে কী তামাশা হচ্ছে? জাহাঙ্গীরনগরে উপাচার্য ছাত্রলীগের সঙ্গে টাকা ভাগ করে নিচ্ছেন। এই লজ্জা কোথায় রাখি। কিসের ছাত্র আন্দোলন করলাম।

জাসদ ছাত্রলীগের সাবেক এই নেতা বলেন, আজ শুধু বাংলাদেশ নিয়ে চিন্তা করলে হবে না। পুরো পৃথিবী নিয়ে চিন্তা করতে হবে। পরিকল্পিত অর্থনীতি, বিকশিত জীবনবোধ নিয়ে ভাবতে হবে। লুটতরাজ করে বেশি দূর এগোনো যাবে না। পুঁজিবাদের সঙ্গে যদি গণতন্ত্র না থাকে, তবে ফ্যাসিজম আসে, এটা ইতিহাস বলে।

ছাত্র মৈত্রীর সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সিরাজুম মুনিরের সঞ্চালনায় সভায় উদ্বোধনী বক্তব্য দেন ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি আনোয়ারুল হক। সভায় শোকপ্রস্তাব পাঠ করেন বিপ্লবী ছাত্র সংঘের সাবেক আহ্বায়ক মুখলেছউদ্দিন শাহীন।

সভার শুরুতে উদ্বোধনী সংগীত পরিবেশন করেন গীতিকার ও সুরকার অলক দাস গুপ্ত। এ ছাড়া জাসদ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও নব্বইয়ের ছাত্র আন্দোলনের নেতা সফি আহমেদ বক্তব্য দেন। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক ছাত্রনেতা মিন্টু আনোয়ার, ছাত্র মৈত্রীর সাবেক সভাপতি নুর আহমেদ, সাবেক ছাত্র নেতা আসাদুল্লাহ তারেক, লুৎফা হাসান, মোহন রায়হান, হিমাংসু সাহা, লায়লা আফরোজ, সুজাউদ্দিন জাফর, মনসুরুল হাই সোহান, রাজু আহমেদ, সালেহ আহমেদ, আবদুল্লাহ হিল কাফি, বদরুল আলম, কামাল হোসেন, ওবায়দুর রহমান চুন্নু, রোকনুজ্জামান রোকন, জাহাঙ্গীর আলম, সাদাকাত হোসেন খান, পারভেজ হাসেম, অশোক ধর প্রমুখ।

মজিদ খানের শিক্ষানীতি বাতিলসহ তিন দফা দাবিতে ১৯৮৩ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি শিক্ষার্থীরা মিছিল করে সচিবালয়ের দিকে যাওয়ার পথে পুলিশের গুলিতে কয়েকজন নিহত হন। প্রতিবছর এই দিনে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে তাদের স্মরণ করে বিভিন্ন সংগঠন।


সর্বশেষ সংবাদ