মামুনুল দুর্বল স্ক্রিপ্টে বিয়ের মিথ্যা গল্প সাজিয়েছেন: রাব্বানী

  © টিডিসি ফটো

গত শনিবার হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁর একটি রিসোর্টে অবরুদ্ধ করে রাখার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার সময় তাঁকে এক নারীসহ আটক করা হয়েছে বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে।

অবরুদ্ধের কিছু সময় পর কয়েক হাজার হেফাজতকর্মী ‘রয়েল’ নামের ওই রিসোর্টে হামলা চালিয়ে মাওলানা মামুনুলকে মুক্ত করে নিয়ে যান। এ সময় হেফাজতকর্মীরা রিসোর্টে ভাঙচুরও করেন। বিষয়টি ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছিলাম ডাকসুর সাবেক জিএস ও ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী।

ফেসবুকে রাব্বানী লিখেছেন, সোনারগাঁ এর রয়েল রিসোর্টের ঘটনা ও ফোনালাপগুলো দিবালোকের ন্যায় স্পষ্ট করে দিয়েছে যে মামুনুল হক সাহেব বিবাহবহির্ভূত অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে ধরা খেয়ে দুর্বল স্ক্রিপ্টে বিয়ের মিথ্যা গল্প সাজিয়েছেন, বৌকে বলছেন, সাথে থাকা মোহতারমা অন্যেকজনের স্ত্রী, ফের নিজে পরকীয়ার সাথীকে ও বৌকে শিখিয়ে দিচ্ছেন, বোনকে দিয়ে বৌকে শেখাচ্ছেন কি কি বলতে হবে!

তিনি লিখেছেন, এই ইস্যুতে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার আর কোন সুযোগ নেই, যারা বোঝার ক্রিস্টাল ক্লিয়ার বুঝে গেছেন। তবে এটা বলতে ও স্বীকার করতে হবে, মামুনুল হক এন্ড গং এর অন্ধ মুরিদদের বুকের পাটা আছে, তাদের ভন্ড নেতা ও আদর্শের প্রতি কমিটমেন্ট আছে। ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে জেনার মতো গর্হিত অপরাধ করার পরও তারা হামলা-ভাংচুর করে গায়ের জোরে তাদের হুজুরকে ঠিকই ঘটনাস্থল থেকে বের করে নিয়েছে। তারা নৈতিকভাবে চরম প্রশ্নবিদ্ধ হলেও ফুল কমিটেড।

অথচ আমাদের আদর্শিক কোন সহযোদ্ধা এমন গর্হিত অন্যায় তো দূরের কথা, কেউ মিথ্যা অভিযোগে বা ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে যদি এমন পরিস্থিতিতে পড়তো, তবে আমাদের নেতারা জানার পরে সাহায্য করা তো দূরে, আর যোগাযোগই রাখতোনা! সত্য-মিথ্যা যাচাই না করেই মিডিয়ায় ফলাও করে বলতো, চিনিনা, জানিনা, দলের কেউ না ব্লা ব্লা ব্লা।

রাব্বানী আরও লিখেন, এমন বহু ঘটনা আছে, আমাদের দলীয় নেতা-কর্মীরা অন্যায় না করে বিনা দোষে শাস্তি পাচ্ছে আর নিজ দলের লোকজনই সে দুঃসময়ে সহানুভূতি-সহযোগিতা-সমর্থনের বদলে টিপ্পনী কাটে, খোঁচা মারে, পারলে আরেকটু বিপদে ঠেলে দিয়ে নিজের আখের গোছায়! এটাই আমাদের আদর্শিক শক্তি আর কমিটমেন্টের অবস্থা। আমরা কি এমন আদর্শ চেয়েছিলাম?


সর্বশেষ সংবাদ