আগরতলা অভিমুখে লংমার্চ ঘোষণা বিএনপির ৩ সংগঠনের

জরুরি সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন যুবদলের সভাপতি মোনায়েম মুন্না
জরুরি সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন যুবদলের সভাপতি মোনায়েম মুন্না  © সংগৃহীত

ভারতে বাংলাদেশের দূতাবাসে হামলা, পতাকা অবমাননা, ভারতের মিডিয়ায় বাংলাদেশের বিরুদ্ধে চলমান তথ্য সন্ত্রাস ও বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে অযাচিত হস্তক্ষেপ থেকে বিরত থাকার দাবিতে স্মারকলিপির পর এবার লংমার্চের ঘোষণা এসেছে। জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও যুবদল আগামী বুধবার (১১ মার্চ) আগরতলা অভিমুখে লংমার্চ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে।

সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে যুবদলের সভাপতি মোনায়েম মুন্না জানান, বুধবার নয়াপল্টন থেকে যৌথ লংমার্চ করবেন ৩টি সংগঠনের নেতাকর্মীরা। গন্তব্য হবে আখাউড়া সীমান্ত পর্যন্ত।

এ সময় মোনায়েম মুন্না বলেন, হাইকমিশনে সহিংস ঘটনার সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নীরবতা ভারত সরকারের মৌন সমর্থনই। কিছু মিডিয়া অপপ্রচার চালাচ্ছে, যা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করছে। কূটনীতিক মিশনে সহিংস হামলা স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের ওপর আঘাতের শামিল।

আরও পড়ুন: ভারতীয় দূতাবাস অভিমুখে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের পদযাত্রার ঘোষণা

ভারত এখন ক্রিমিনালদের আশ্রয়কেন্দ্র ও অভয়ারণ্য হয়েছে মন্তব্য করে যুবদলের সভাপতি বলেন, দেশটি ক্রমাগত ভিত্তিহীন ও কল্পনাপ্রসূত গুজব সৃষ্টি করছে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হাসিনার গণহত্যার শিকার হয়েছেন অনেক সনাতন। কিন্তু তখন ভারত নীরব ছিল।

মোনায়েম মুন্না বলেন, ‘শেখ হাসিনাকে ভারতে আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে বিব্রত করছে। ভারতের কোনো নৈতিক অধিকার নেই বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মন্তব্য করার। ১১ ডিসেম্বর ঢাকা টু আখাউড়া সীমান্ত পর্যন্ত লংমার্চ ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে হবে। ভূখণ্ডের বিরুদ্ধে যেকোনো চক্রান্তে সোচ্চার থাকব।’

আরও পড়ুন: বৈষম্যবিরোধী ছাত্রনেতার ‘হাত ভেঙে দিলেন’ যুবদল নেতা

এর আগে গতকাল রোববার (৮ ডিসেম্বর) দিল্লির অপপ্রচার বন্ধের দাবিতে ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন অভিমুখে পদযাত্রা করেছে বিএনপির এই তিন অঙ্গসংগঠন। নয়াপল্টন থেকে শুরু হওয়া কর্মসূচিতে কয়েক হাজার নেতাকর্মী অংশ নেন।

রামপুরায় পুলিশ অনুরোধ জানালে পদযাত্রা শেষ করে হাইকমিশনে স্মারকলিপি দেন নেতারা।


সর্বশেষ সংবাদ