চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ রুম্মান
- যশোর জেলা প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৭ PM , আপডেট: ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৪৭ PM
ডাক্তার হতে চান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ আনাছ মাহমুদ রুম্মান। বর্তমানে তিনি উচ্চমাধ্যমিক শেষ করে রাজধানীর একটি মেডিকেল কোচিংয়ে ভর্তি থেকে পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
গত ১৮ জুলাই উত্তরায় আন্দোলন চলাকালে গুলিবিদ্ধ হন রুম্মান। ওই সময় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উত্তরার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করান। সেখানে সাতদিন চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। পরে কিছুটা সুস্থ হয়ে যশোরে গ্রামের বাড়ি চলে যান। এখন আসন্ন ভর্তি পরীক্ষার জন্য অসুস্থ অবস্থায়ও প্রস্তুত করছেন নিজেকে।
যশোর জেলার মনিরামপুর উপজেলার ধলিগাতি গ্রামের আজহারুল ইসলাম ও রুমা দম্পতির বড় সন্তান রুম্মান। তামিরুল মিল্লাত মাদ্রাসা টঙ্গি শাখা থেকে এ বছর বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছেন তিনি।
রুম্মান বলেন, আন্দোলনের জন্য আমাদের পরীক্ষা স্থগিত হয়ে যায়। এ সময় আমি ও আমার কয়েকজন বন্ধু আন্দোলনে যোগ দিই। আন্দোলন চলাকালে ১৮ জুলাই আমরা উত্তরায় সমবেত হয়। এ সময় পুলিশ ও ছাত্রলীগের ক্যাডাররা আমাদেরকে চারিপাশ দিয়ে ঘিরে পেটাতে থাকে ও গুলি ছুড়তে থাকে। কয়েকটি গুলি এসে আমার শরীরে বিদ্ধ হয়।
‘আমি তারপর জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। যখন জ্ঞান হয় তখন আমি হাসপাতালের বিছানায়। আমি এখনো পুরোপুরি সুস্থ না। তবুও পড়াশুনা চালিয়ে যাচ্ছি। আমি চিকিৎসক হতে চাই।’
রুম্মানের বাবা আজহারুল ইসলাম বলেন, আমার ছেলের গুলিবিদ্ধের খবর শুনে আমি তাৎক্ষণিক ঢাকায় চলে যাই। হাসপাতালে বিছানায় আহত ছেলেকে দেখে কখনো ভাবিনি যে আবার আমাদের মাঝে ফিরে আসবে। আমি সামান্য একটি ওষুধ কোম্পানিতে চাকরি করি। ছেলের চিকিৎসা করাতে গিয়ে আমি সর্বস্ব হারিয়েছি। আমার অফিসের বেতনও বন্ধ আজ দীর্ঘদিন। এরই মধ্যে ছেলে ও ছোট মেয়ের পড়াশুনার খরচ বহন করতে হচ্ছে। এখন পর্যন্ত আমি কোনো সহায়তা পাইনি।
এ বিষয়ে মনিরামপুরের উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিশাত তামান্না বলেন, আহতদের তালিকা করে মন্ত্রণালয়ের পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে স্ব-স্ব পরিবার-স্বজনের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে। যদি কেউ সহায়তা না পেয়ে থাকেন তাহলে আমাদেরকে জানালে পুনরায় আমরা দেখবো।