দুই নেতাকে মারধর
ছাত্রলীগের নীরবতায় হতাশ ঢাবি ছাত্রদল, এডিসি হারুনের বিচার দাবি
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৬:৪৮ PM , আপডেট: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৭:০৯ PM
নিজেদের দুই নেতাকে নির্যাতনকারী পুলিশ অফিসার হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে কোনো প্রতিবাদ না করে ছাত্ররাজনীতির ইতিহাসে ছাত্রলীগ কলঙ্ক লেপন করেছে বলে মন্তব্য করেছে ছাত্রদল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা। একইসঙ্গে ছাত্রলীগের এই অমর্যাদাকর অবস্থানের কারণে নিন্দা ও হতাশা প্রকাশ করেছে দলটি।
আজ রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো শাখা ছাত্রদলের এক বিবৃতিতে এই উদ্বেগ ও নিন্দা জানানো হয়। এসময় ছাত্রলীগ নেতাদের নির্যাতনসহ অতীতের সকল পুলিশি নির্যাতনের দায়ে এডিসি হারুনকে বিচারের আওতায় আনার জোর দাবি জানিয়েছে ছাত্রদল।
ছাত্রলীগের মদদে ছাত্রদের উপর পুলিশি নির্যাতনের কলঙ্কজনক সংস্কৃতির শিকার এখন খোদ ছাত্রলীগ উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার হারুন অর রশিদ (এডিসি হারুন) বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফজলুল হক হলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন নাঈম এবং ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় বিজ্ঞানবিষয়ক সম্পাদক ও ঢাবি'র শহীদুল্লাহ হলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ মুনিমকে থানায় ধরে নিয়ে বেধড়ক মারধর করে দাঁত ভেঙ্গে ফেলেছে।
“বিগত ১৫ বছর ধরে পুলিশের সহযোগিতায় ছাত্রলীগ সারাদেশের ক্যাম্পসগুলোতে ত্রাসের রাজত্ব কয়েম করেছে। ছাত্রদলসহ সকল বিরোধী ছাত্রসংগঠন এবং সাধারণ ছাত্রদের নির্মম নির্যাতন করেছে। নির্যাতিত, মুমূর্ষু ছাত্রদের পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে। পুলিশ তাদেরকে গায়েবি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে রিমান্ডে এনে আবার নির্যাতন করেছে। বিরোধী ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মীদের উপরে অমানবিক পুলিশি নির্যাতনের ঘটনাগুলোতে প্রতিবাদ করেনি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।”
বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, আজ তাদের দুজন কেন্দ্রীয় নেতা পাশবিক নির্যাতনের শিকার হওয়ার পরেও ছাত্রলীগের কেউ কোনো প্রতিবাদ জানাতে সক্ষম হয়নি। একজন নিম্ন পদস্থ পুলিশ কর্মকর্তার ভয়ে সমগ্র বাংলাদেশের ছাত্রলীগ তটস্থ। উক্ত পুলিশ কর্মকর্তা যাবজ্জীবন কারাদন্ডযোগ্য অপরাধ করার পরেও ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে আইনগত কোন ব্যবস্থা নেওয়ার ন্যূনতম সাহস ছাত্রলীগের নেতারা দেখাতে পারেনি। তারাও জানে যে, যে রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছে তাতে তাদেরও বিচার পাওয়ার কোন সুযোগ অবশিষ্ট নাই।