বাংলাদেশের ৬ উইকেট নিয়ে লাঞ্চে গেল দক্ষিণ আফ্রিকা

৬ উইকেট ৬০ রান নিয়ে লাঞ্চ বিরতিতে গেছে বাংলাদেশ দল
৬ উইকেট ৬০ রান নিয়ে লাঞ্চ বিরতিতে গেছে বাংলাদেশ দল  © সংগৃহীত

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টে টসে জিতে ব্যাটিং বেছে নিয়েছে বাংলাদেশ। টসে জিতে ব্যাটে নেমে শুরুটা একদম ভালো হয়নি টাইগারদের। প্রথম সেশনে ৬ উইকেট ৬০ রান নিয়ে লাঞ্চ বিরতিতে গেছে বাংলাদেশ দল। 

সোমবার (২১ অক্টোবর) মিরপুর শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সকাল ১০টায় শুরু হয় ম্যাচটি। দুই ম্যাচের সিরিজের প্রথম টেস্টে টস জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন টাইগার অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ হওয়ায় এই সিরিজটি দুই দলের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ।

কেশভ মহারাজের বলে লাইন মিস করে এলবিডব্লিউ হলেন মিরাজ। রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারলেন না। তার বিদায়ের মধ্য দিয়ে শেষ হলো মিরপুর টেস্টের প্রথম সেশন। এই সেশনে ২৬.১ ওভারে বাংলাদেশের প্রাপ্তি ৬০ রান, এজন্য হারাতে হয়েছে ৬ উইকেট। একাই লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন জয়। ৮৬ বলে ১৬ রান নিয়ে ব্যাট করছেন এই ওপেনার।

উইকেটের শুরুটা করেছেন দক্ষিণ আ্যিফকার পেসার উইয়ান মুল্ডার। দ্বিতীয় ওভারে সাদমানকে শূন্য রানে ফিরিয়ে শুরু। তার ফিরিয়েছেন একে একে মমিনুল হক ও নাজমুল হোসেন শান্তকে। মুল্ডারের পর উইকেটে হানা দিয়েছেন রাবাদাও। ফিরিয়েছেন মুশফিকুর রহিমকে। এই পেসার ফিরিয়েছেন লিটনকেও। ১ রান করেছেন তিনি।

মুল্ডার নিয়েছেন ৩ উইকেট, রাবাদা ২টি। অন্য উইকেটটি নিয়েছেন স্পিনার কেশব মহারাজ। মুশফিকের উইকেট নিয়ে রাবাদা গড়েছেন এক কীর্তি। দক্ষিণ আফ্রিকার ষষ্ঠ বোলার হিসেবে ৩০০ তম উইকেটের কীর্তি গড়েছেন তিনি। প্রোটিয়াদের হয়ে টেস্টে টেস্টে ৩০০ উইকেট আছে অ্যালান ডোনাল্ড, শন পোলক, মাখায় এনটিনি, মরনে মরকেল ও ডেল স্টেইনের।

এখন পর্যন্ত ১৪টি টেস্টে একে অপরের মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকা। সেখানে ১২টিতে জিতেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। দুই টেস্ট ড্র হয়েছে। ফলে টেস্ট ক্রিকেটে তাদের বিরুদ্ধে এখনও জয় পায়নি বাংলাদেশ। দুই দলের টেস্ট সিরিজে সর্বোচ্চ রান দক্ষিণ আফ্রিকার। ২০০৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে চট্টগ্রাম টেস্টে ৭ উইকেটে ৫৮৩ রান করেছিলো প্রোটিয়ারা। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান ৩২৬।

বাংলাদেশের একাদশ: নাজমুল হোসেন (অধিনায়ক), সাদমান ইসলাম, মাহমুদুল হাসান, মুমিনুল হক, মুশফিকুর রহিম, লিটন দাস (উইকেটকিপার), জাকের আলী, তাইজুল ইসলাম, মেহেদী হাসান মিরাজ, হাসান মাহমুদ ও নাঈম হাসান।

দক্ষিণ আফ্রিকার একাদশ: এইডেন মার্করাম (অধিনায়ক), টনি ডি জর্জি, ট্রিস্টান স্টাবস, ডেভিড বেডিংহাম, রায়ান রিকেলটন, ম্যাথু ব্রিটজকে, কাইল ভেরেইনা (উইকেটকিপার), উইয়ান মুল্ডার, কেশব মহারাজ, কাগিসো রাবাদা ও ডেন পিট।


সর্বশেষ সংবাদ