স্ত্রী আয়েশার সঙ্গে ভারতীয় ক্রিকেটার ধাওয়ানের বিচ্ছেদ
অবশেষে স্ত্রী আয়েশা মুখার্জির সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বিচ্ছেদ হয়েই গেল ভারতীয় ক্রিকেটের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান শিখর ধাওয়ানের।
বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) স্ত্রী আয়েশার বিরুদ্ধে মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ এনে ধাওয়ানের করা বিচ্ছেদের মামলার প্রেক্ষিতে দিল্লির পাতিয়ালা হাউস কোর্টের পারিবারিক আদালত বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন মঞ্জুর করেছেন। তবে মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য আয়েশা লড়াই করেননি।
শিখর ধাওয়ানের দীর্ঘদিনের সঙ্গী অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে বসবাসরত আয়েশা একজন অপেশাদার বক্সার। ধাওয়ানের
সাথে বিয়ের আগে মেলবোর্নে অস্ট্রেলিয়ান এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে তার বিয়ে হয়েছিল। সেখানে তার দুটি কন্যাসন্তানও আছে।
প্রথম বিবাহ বিচ্ছেদের পর শিখর ধাওয়ানের সঙ্গে ২০১২ সালের অক্টোবরে জুটি বেঁধেছিলেন আয়েশা। দীর্ঘ দিন একসাথে থাকলেও বেশ কিছুদিন ধরেই দুজনের মধ্যে বনিবনা হচ্ছিল না। ধাওয়ানের অভিযোগ ছিল, স্ত্রী তাঁকে মানসিক নির্যাতন করেন। একমাত্র সন্তানকেও দীর্ঘদিন তাঁর সঙ্গে থাকতে দেন না।
তবে ২০২১ সালে ইনস্টাগ্রাম পোস্টে ধাওয়ানের সঙ্গে আয়েশা বিচ্ছেদের কথা জানালে বিষয়টি সামনে আসে। ইনস্টাগ্রাম পোস্টে তিনি লিখেছিলেন, ‘কিছু শব্দ কত শক্তিশালী এবং প্রাসঙ্গিক হতে পারে। প্রথমবার বিচ্ছেদের সময় খুব ভীত ছিলাম। মনে হচ্ছিল, আমি ব্যর্থ হয়েছি এবং ভুল কিছু করেছি সে সময়। নিজেকে স্বার্থপর মনে হচ্ছিল। এখন ভেবে দেখুন, দ্বিতীয়বার একই পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেতে হলো।’
তবে তাদের সন্তান কার কাছে থাকবে তা নিয়ে কোনো নির্দেশনা দেননি আদালত। ধাওয়ান চাইলে ছেলের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন। যেহেতু তাঁর ছেলে অস্ট্রেলিয়ায় থাকে তাই চাইলে তিনি নিয়মিত ভিডিও কলে কথা বলতে পারবেন। এ ছাড়া স্কুলে ছুটি চলাকালীন তাদের সন্তান যেন ভারতে এসে ধাওয়ান আর তাঁর পরিবারের সঙ্গে নির্বিঘ্নে থাকতে পারে, সে ব্যাপারে আয়েশাকে যাবতীয় সাহায্য করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।