বাবা হচ্ছেন ক্রিকেটার শান্ত

বাবা হচ্ছেন ক্রিকেটার শান্ত
বাবা হচ্ছেন ক্রিকেটার শান্ত   © সংগৃহীত

বাবা হতে যাচ্ছেন ব্যাট হাতে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা নাজমুল হোসেন শান্ত। দাম্পত্য জীবনে প্রথমবারের মতো বাবা হতে চলেছেন টাইগারদের এ টপ অর্ডার ব্যাটার। ২০২০ সালের ১১ জুলাই রাজশাহী জেলার পবা উপজেলার হরিয়ানের মৃধা পারা গ্রামের মেয়ে সাবরিন সুলতানা রত্নাকে বিয়ে করেন শান্ত। একই জেলা ও উপজেলার পাশের গ্রাম রনহাটে শান্তর গ্রামের বাড়ি।

নাজমুল হোসেন শান্ত ক্যারিয়ারের সেরা ছন্দে আছেন। ধারাবাহিক পারফর্ম করে আসন্ন এশিয়া কাপের স্কোয়াডেও জায়গা করে নিয়েছেন শান্ত। সামনে এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপ সামনে রেখে দলের সঙ্গে প্রস্তুত নিচ্ছেন তিনি। বড় দুটি টুর্নামেন্টের আগেই ভক্তদের সুখবর দিয়েছেন শান্ত। তিনি বাবা হতে চলেছেন। 

মঙ্গলবার (১৫ আগষ্ট) ফটো ও ভিডিও শেয়ারিং হ্যান্ডেল ইন্সটাগ্রামে শান্তর স্ত্রীর বেবি বাম্পের কিছু ছবি ভেসে বেড়াতে দেখা যায়। যেখানে শান্তর পাশাপাশি দেখা যায় জাতীয় দলের কয়েকজন ক্রিকেটারের স্ত্রীকেও। যাদের মধ্যে ছিলেন তাইজুল, মিরাজ, সাদমান ও আফিফ পত্নীদের। 

নাজমুল হোসেন শান্তর স্ত্রীকে ঘিরে আছেন আফিফ, মিরাজ, সাদমান ও তাইজুলের স্ত্রীরা। ছবি- সংগৃহীত

শান্ত ও তাঁর স্ত্রী সাবরিন সুলতানা রত্না—দুজনের বাড়িই রাজশাহীতে। তাঁদের বিয়েটা হয়েছিল করোনার সেই কঠিন সময়ে। মহামারি শুরু হওয়ার পর ২০২০ সালের ১১ জুলাই ছোট পরিসরেই বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সেরেছিলেন তাঁরা। 

শান্তকে নিয়ে যখন দর্শক-সমর্থকেরা তুমুল সমালোচনা করেছেন, ফেসবুকে ট্রল করেছেন—মানসিকভাবে শক্ত থাকা যখন অনেক কঠিন হয়ে পড়েছিল তাঁর, তখন পাশ থেকে স্ত্রীর অনেক সমর্থন পেয়েছেন ২৪ বছর বয়সী বাঁহাতি টপ অর্ডার ব্যাটার। দুর্দান্ত ছন্দে ফেরার পর যখন আবার মানুষের প্রশংসায় ভেসেছেন, স্ত্রীর এই অবদান একাধিকবার সামনে এনেছেন শান্ত। 

আরও পড়ুন: স্ত্রীদের ফেসবুক স্ট্যাটাস নিয়ে ক্রিকেটারদের সতর্ক করার উদ্যোগ বিসিবির

গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে রানে ফেরা শান্ত অসাধারণ ব্যাটিং করছেন প্রায় প্রতিটি সিরিজেই। সর্বশেষ আয়ারল্যান্ড সিরিজের সেরা খেলোয়াড়ও হয়েছেন তিনি। শান্তর এই ফর্ম বাংলাদেশের দর্শকেরা দেখতে চাইবে এবার বিশ্বকাপেও।

নাজমুল হোসেন শান্ত ছিলেন একসময় দল থেকে বাদ পড়ার দ্বারপ্রান্তে। তাকে নিয়ে আশা হারিয়েছিলেন সমর্থকদের অনেকেই। এমনকি কেউ কেউ বলছিলেন, নাজমুল হোসেন শান্তকে যে সুযোগ দেয়া হচ্ছে, সেটা অন্যায্য এবং নির্বাচক কমিটি এই আস্থার প্রতিদান পাবে না। ক্রিকেট বিশ্লেষকরাও শান্তকে দলে নেয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তখন। কেউ কেউ তাকে ফেলেছিলেন বাতিলের খাতায়।

তবে পরবর্তীতে মিনহাজুল আবেদীন নান্নুর নেতৃত্বাধীন জাতীয় দলের নির্বাচক কমিটি তাদের আস্থার প্রতিদান পেলেন সম্ভবত সবচেয়ে সুমিষ্ট প্রক্রিয়ায়। একই সাথে বড় ব্যবধানে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। এতোদিন যে উন্নতির কথা নির্বাচকরা বলছিলেন, যে সক্ষমতার কথা বলছিলেন টিম ম্যানেজমেন্ট, সেটার প্রতিফলন মাঠে দেখিয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত।


সর্বশেষ সংবাদ