বিশ্বকাপ ফাইনালে ফেরার সবুজ সংকেত করিম বেনজেমার

করিম বেনজেমা
করিম বেনজেমা  © সংগৃহীত

ঊরুর চোটে কাতার বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গিয়েছিলেন করিম বেনজেমা। ফ্রান্সের বিশ্বকাপ স্কোয়াডে করিম বেনজেমার নাম এখনো আছে। কিন্তু ইনজুরির কারণে পুরো আসরে একটি ম্যাচও খেলা হয়নি তার। রাশিয়া বিশ্বকাপে খেলতে পারেননি। স্বপ্ন দেখছিলেন ফরাসিদের হয়ে কাতার মাতাবেন। তবে প্রত্যাশার চেয়েও দ্রুত চোট থেকে সারিয়ে উঠেছেন ৩৪ বছর বয়সী ফ্রান্সের এই তারকা ফরোয়ার্ড। ফিরতে পারেন ফাইনালে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে। তবে সেক্ষেত্রে দেশমের সবুজ সংকেত পেতে হবে তাকে। 

সেই লক্ষ্যেই নিজেকে প্রস্তুত করছেন রিয়াল মাদ্রিদ তারকা করিম বেনজেমা। রিয়ালকে শিরোপা জিতিয়ে নিজে জিতেছেন ব্যালন ডি’অর।

বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাওয়ার পর কিছুদিন ছুটি কাটান বেনজেমা। তারপর যোগ দেন রিয়াল মাদ্রিদের অনুশীলনে। এখন বলা যায়, পুরোপুরি ফিট আছেন তিনি। সুযোগ থাকা সত্ত্বেও ফ্রান্স তার পরিবর্তে কোনো খেলোয়াড়কে ডাকেনি। কাতার বিশ্বকাপে ফ্রান্স দলের অন্যতম হাতিয়ার হওয়ার কথা ছিল বেনজেমার। তবে শেষ পর্যন্ত টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই উরুতে চোট পান তিনি। চোট সারাতে সময় লাগবে কমপক্ষে ৩ সপ্তাহ। তার বিদায়ে ফ্রান্স স্কোয়াড নেমে আসে ২৫ জনে।

বেনজেমার জায়গাটি এখনও ফাকা পড়ে আছে। অন্যদিকে চোট সারিয়ে উঠেছেন বেনজেমা। এদিকে বেনজেমাকে ছাড়াই তার দল নিশ্চিত করেছে ফাইনাল। ফলে চাইলেই বেনজেমাকে দলে নিতে পারেন দেশম। ফাইনালের জন্যই নিজেকে তড়িঘড়ি করে প্রস্তুত করেছেন বেনজেমা। এখন দেখার বিষয় শেষ পর্যন্ত দেশমের সবুজ সংকেত পান কি না বেনজেমা।

বেনজেমা এর আগে চোটে পড়ার সময় বলেছিলেন, আমি আমার জীবনে কখনও হাল ছেড়ে দেয়নি কিন্তু আজ রাতে আমাকে দলের কথা ভাবতে হবে। যেমনটা আমি সবসময় করেছি। আমাকে এমন কাউকে আমার জায়গা দিতে বলে যে আমাদের স্কোয়াডকে দুর্দান্ত বিশ্বকাপে সাহায্য করতে পারে।

আরও পড়ুন: সোনালি ট্রফির স্বপ্নে মেসি-এমবাপ্পের লড়াই

স্প্যানিশ সংবাদ মাধ্যম মুন্ডো দেপোর্তিভো বলছে, ফাইনালের আগে কাতার ফিরে যেতে পারেন বেনজেমা। কাজেই বল এখন দেশমের কোর্টে।

এদিকে মরক্কোর জয়ের পরে বেনজেমার অন্তর্ভুক্তির সম্ভাব্যতার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল দেশকে। যদিও এই প্রশ্নের উত্তর দেননি দেশম, আমি পরবর্তী প্রশ্নে যেতে পছন্দ করব।

চলতি বিশ্বকাপে বেনজেমার পজিশনে দারুণ করছেন অলিভিয়ার জিরু। এখন পর্যন্ত ৫ ম্যাচ খেলে গোল করেছেন ৪টি। সেই সাথে বনে গেছেন ফরাসিদের হয়ে জাতীয় দলের সর্বোচ্চ গোল সংগ্রাহক। ফ্রান্স জার্সিতে ১১৯ ম্যাচে তার গোল সংখ্যা ৫৩টি। তবে শেষ দুই ম্যাচেই কোনো গোল করতে পারেননি জিরু। অন্যদিকে ৯৭ ম্যাচে বেনজেমার গোল ৩৭টি।

সূত্র: মিরর


সর্বশেষ সংবাদ