ঈদে নন-এমপিও শিক্ষকদের নীরব কান্না

বিরামপুরে ঈদে নন-এমপিও শিক্ষকদের নীরব কান্না
বিরামপুরে ঈদে নন-এমপিও শিক্ষকদের নীরব কান্না  © ফাইল ফটো

করোনায় গত দেড় বছরের বেশি সময় ধরে বন্ধ দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। সরকারি ও এমপিওভূক্ত শিক্ষকগণ প্রতিমাসে বেতন ভাতা পেলেও নন-এমপিও শিক্ষকগণ পাচ্ছেন না মাসিক বেতনও। গত দেড়বছরের বেশি সময় ধরে বেতন বঞ্চিত থাকায় ঈদের আনন্দ এখন বেদনায় পরিনত হয়েছে বেসরকারি ননএমপিও শিক্ষকদের। তাই নীরব কান্নায় এবারও পার হবে তাদের ঈদ।

দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের তথ্যমতে, উপজেলায় ৪৫টি কিন্ডারগার্টেন এবং ১৫ টি মাধ্যমিক নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষক কর্মচারী রয়েছেন ৬ শতাধিক। প্রায় সাড়ে ৩ হাজার শিক্ষার্থী পড়াশুনা করছেন ওই বিদ্যালয়গুলোতে। সেখানকার পড়ুয়াদের টিউশন ফি এবং তাদের দেয়া বেতনেই চলে কর্মরত শিক্ষকদের সংসার। দীর্ঘদিন বেতন বন্ধ থাকায় এবং সরকারি কোন সহায়তা না পাওয়ার কারণে পরিবার পরিজন নিয়ে দূরাবস্থার মধ্যে পড়েছেন তারা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক বলেন, স্কুলের বেতন আর শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট পড়িয়ে সংসার চলত। কিন্তু গত দেড় বছর বেতন বন্ধ। প্রাইভেট পড়ানোও বন্ধ। বন্ধু-বান্ধব,আত্মীয় স্বজনদের কাছ থেকে ধারদেনা করে সংসার চালিয়ে আসছি। মাঝে মাঝে মানুষের জমিতে ধান রোপণ করার কাজও করেছি। কিন্তু এখন ধার চাইতেও লজ্জা লাগে। দোকানেও অনেক বাকি পড়ায় দোকান মালিকও কথা শোনায়। বাধ্যহয়ে বর্তমানে দেশের বিভিন্নস্থানে রঙমিস্ত্রির কাজ করছি।


সর্বশেষ সংবাদ