ভিকারুননিসা শিক্ষকদের দুর্নীতির খোঁজে দুদকের অভিযান
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০১৮, ১০:৪৯ AM , আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০১৮, ১১:১৭ AM
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কাছে ভর্তি-কোচিং বাণিজ্য, ঘুষ, অতিরিক্ত অর্থ আদায়সহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে। নিয়মবহির্ভূত এসব কর্মকাণ্ডে যুক্ত থেকে একাধিক শিক্ষক অবৈধ সম্পদ অর্জন করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ওই শিক্ষকদের অবৈধ সম্পদের খোঁজে অনুসন্ধানে নেমেছে দুদক।
জানা যায়, দুদকের অনুসন্ধানে রাজধানীর নামীদামী আট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শতাধিক শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোচিং বাণিজ্যে সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ মিলেছে। এর মধ্যে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাধিক শিক্ষকও রয়েছেন।
দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ সাংবাদিকদের জানান, অভিযোগ প্রমাণ হলে জড়িত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি বলেন, সরকারি ও এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা শ্রেণীকক্ষে পাঠদান করবেন এটাই নিয়ম। সরকারি অনুমোদন ছাড়া এর বাইরে যদি তারা কিছু (কোচিং) করেন, সেটা আমরা দুর্নীতির মধ্যেই ফেলব। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থাও নেয়া হবে। কোচিং বাণিজ্য নিয়ে জনসাধারণের মধ্যে এক ধরনের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা রয়েছে। কোচিং বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত শিক্ষকদের চিহ্নিত করার কাজ চলছে।
প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের ২০ জুন কোচিং বাণিজ্য বন্ধ করতে নীতিমালা তৈরি করে প্রজ্ঞাপন জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। অভিযোগ আছে, এ নীতিমালা উপেক্ষা করে এখনো চলছে শিক্ষকদের কোচিং বাণিজ্য। নীতিমালায় নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের কোচিং অথবা প্রাইভেট পড়াতে নিষেধ করা হয়েছে।
এছাড়া ২০০২ সাল থেকে একের পর এক প্রতিষ্ঠানপ্রধান বদল হতে থাকে। অনিয়ম-দুর্নীতিও বাড়তে থাকে। শিক্ষক ও প্রশাসনিক লোকবল নিয়োগে অভিযোগ উঠতে থাকে অনিয়মের। এছাড়া যোগ্যদের পাশ কাটিয়ে পদোন্নতির অভিযোগও রয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে। অভিযোগ আছে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতারও। সম্প্রতি এক শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার ঘটনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির তিন শিক্ষককে বরখাস্ত করা হয়েছে। আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে একজন শিক্ষককে গ্রেফতারও করা হয়েছে।