মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অর্ধবার্ষিকী পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফেসবুকে
- নেত্রকোনা প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৮ জুন ২০২৩, ০৮:০০ PM , আপডেট: ২০ আগস্ট ২০২৫, ১০:০৪ AM
নেত্রকোনার মদনে এক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অর্ধবার্ষিকী পরীক্ষার নবম শ্রেণির ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রের প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার (৭ জুন) থেকে প্রশ্নপত্রটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।
আজ বৃহস্পতিবার ( ৮ জুন) এ প্রশ্নপত্র দিয়ে পরীক্ষাটি হওয়ার কথা ছিলো। ঘটনাটি উপজেলার বালালী বাঘমারা উচ্চ বিদ্যালয়ের। বিষয়টি জানতে পেরে মদন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শফিকুল বারী সেটি বাতিল করে নতুন প্রশ্নপত্র তৈরি করে পরীক্ষা নেওয়ার নির্দেশ দেন।
এদিকে ফাঁস হওয়া প্রশ্নেপত্রে দেখা গেছে, বিদ্যালয়ের নামও ভুল লেখা হয়েছে। বিদ্যালয়টি নাম বালালী বাঘমারা হলেও প্রশ্নে লেখা হয়েছে বালালী বাগজান উচ্চ বিদ্যালয়। এ নিয়ে অভিভাবক, সচেতন মহল, সাবেক ও বর্তমানে ছাত্রদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়ে বালালী বাঘমারা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ওয়াহিদুজ্জামান তালুকদার বলেন, বুধবার নবম শ্রেণির ইংরেজি প্রথমপত্রের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় ভুল করে দুই-তিনটি কক্ষে ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রের প্রশ্নপত্র শিক্ষার্থীদের দেয়া হয়। তাৎক্ষণিক বিষয়টি নজরে আসলে ক্লাস থেকে প্রশ্নপত্র নিয়ে আসা হয়। তবে কিছু দুষ্টু ছাত্র হয়ত প্রশ্নপত্রটির ছবি তুলে রেখে পরে ফেসবুকে ছেড়ে দেয়। এ প্রশ্নপত্রটি আমি বাতিল করেছি।
তিনি আরও জানান, প্রশ্নপত্রে বিদ্যালয়টির নাম ভুল কেন আসল এমন বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, যারা প্রশ্নপত্র তৈরি করেছেন তাদের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে।
ক্ষোভ প্রকাশ করে বিদ্যালয়টির সাবেক শিক্ষার্থী শুভ্রত হাসান তূর্য বলেন, একটি প্রশ্নে বিদ্যালয়ের নাম ভুল হয় আমি এই প্রথম দেখলাম। আমার মনে হয় শিক্ষকদের অবহেলার কারণেই এমন ঘটনা ঘটেছে। একদিকে প্রশ্ন ফাঁস আরেকদিকে বিদ্যালয়ের নাম ভুল। ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানটিকে বাঁচাতে বিষয়টি কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
মদন উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শফিকুল বারী বলেন, বালালী বাঘমার উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে এমন একটি অভিযোগের প্রশ্নপত্রটি বাতিল করে নতুন প্রশ্নপত্র তৈরী করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।