স্নাতকোত্তর-পিএইচডি স্কলারশিপে জাপান যখন পছন্দের শীর্ষে

টোকিও ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি
টোকিও ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি  © সংগৃহীত

সূর্যদয়ের দেশ জাপানকে বলা হয় বাংলাদেশের নিঃস্বার্থ বন্ধু। স্বাধীনতার সময় থেকেই সুখে-দুঃখে পাশে আছে দেশটি। চমৎকার নিরাপত্তা, উন্নত জীবনমান এবং পড়ালেখার মান জাপানকে বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের পছন্দের শীর্ষস্থানে রেখেছে। দেশটিও আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের আকৃষ্ট করত দিয়ে থাকে বিভিন্ন স্কলারশিপ। জাপান সরকারের অর্থায়নে দেয়া মেক্সট টাইটেক স্কলারশিপ তেমনই একটি।

এ স্কলারশিপের মাধ্যমে কোনো ধরনের টিউশন ফি ছাড়াই টোকিও ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে স্নাতকোত্তর ও পিইচডি করতে পারবেন শিক্ষার্থীরা। স্নাতকোত্তরের সময়সীমা ২ বছর ও পিএইচডির জন্য এই সময় ৩ বছর।

আবেদন করতে বা ভর্তি হতেও লাগবে না কোন ফি। দেয়া হবে মাসিক উপবৃত্তি ও বিমানে যাতায়াত খরচসহ নানান ধরনের সুযোগ-সুবিধা। এমনকি লাগবেনা কোন আইইএলটিএস কিংবা টোয়েফল পরীক্ষা।

বাংলাদেশসহ সকল দেশের আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা এ স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন। আবেদনের শেষ সময় আগামী ৮ ডিসেম্বর।

যেসব বিষয় নিয়ে পড়া যাবে:

গণিত, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, আর্থ সায়েন্স, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, সিস্টেম এন্ড কন্ট্রোল ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং, ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড ইকোনোমিক্স, ম্যাটারিয়াল সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, কেমিক্যাল সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, গণিত ও কম্পিউটিং সায়েন্স, লাইফ সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি।

সুযোগ-সুবিধা:

* বৃত্তিপ্রাপ্তদের কোন টিউশন ফি বা ভর্তি ফি দেওয়া লাগবে না।
* আবেদন করতেও লাগবে না কোন ফি।
* স্নাতকোত্তরে পর্যায়ে প্রতি মাসে ১ লক্ষ ৪৭ হাজার ইয়েন (প্রায় ১ লক্ষ ১৩ হাজার টাকা) মাসিক উপবৃত্তি দেয়া হবে।
* পিএইচডিতে প্রতি মাসে ১ লক্ষ ৪৮ হাজার ইয়েন দেয়া হবে, বাংলাদেশী টাকায় যার পরিমাণ প্রায় ১ লক্ষ ১৪ হাজার টাকা।
* দেওয়া হবে আসা-যাওয়ার বিমান খরচও।
* শিক্ষার্থীদের আইইএলটিএস বা টোয়েফল স্কোর দেখাতে হবে না।

যোগ্যতার মানদণ্ড:

* জাপানের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক আছে এমন যেকোনো দেশের আন্তর্জাতিক ছাত্র হতে হবে।
* আবেদনকারীদের অবশ্যই ১৯৮৭ সালের ২ এপ্রিলের পরে জন্মগ্রহণ করতে হবে।
* এখন থেকে পূর্ববর্তী ২ বছরের একাডেমিক পরীক্ষার ফলাফলে জিপিএ ৩ এর মধ্যে অন্তত ২.৩০ থাকতে হবে।

আবেদন প্রক্রিয়া:

এই বৃত্তি পেতে হলে ডাকযোগে সরাসরি টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের বৃত্তি আবেদন জমা দিতে হবে। কোন অনলাইন আবেদন প্রক্রিয়া নেই এখানে। আবেদন প্রক্রিয়া ও বৃত্তিটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন এই লিংকে। 


সর্বশেষ সংবাদ