বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা কম খরচে পড়তে পারেন যে ১৩ দেশে
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৩ মার্চ ২০২৩, ১১:৩৪ AM , আপডেট: ০৩ মার্চ ২০২৩, ১২:২৬ PM
আমাদের সবারই কমবেশি স্বপ্ন থাকে উচ্চমাধ্যমিকের পর উন্নত দেশ থেকে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করার। কিন্তু বাংলাদেশের অধিকাংশ শিক্ষার্থীর যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও সঠিক দিকনির্দেশনার অভাবে বিদেশে উচ্চশিক্ষার এই স্বপ্ন অধরা থেকে যায়। বিদেশে উচ্চশিক্ষার কথা শুনলে প্রথমেই যে প্রশ্নটি আমাদের মাথায় ঘুরপাক খায়, সেটি হলো কোন দেশে সাধ্যের ভেতর উচ্চশিক্ষা লাভ করা সম্ভব। যে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করতে চান, তার মান অবশ্যই বড় একটি ব্যাপার। তবে টিউশন ফি, জীবনযাত্রার ব্যয়, ভবিষ্যতে চাকরির বিষয়টিও বিবেচনায় রাখাটা জরুরি।
অনেকের আগ্রহ থাকে নরওয়ে, জার্মানি ও ফ্রান্সের মতো দেশের প্রতি। পৃথিবীর নামী অনেক বিশ্ববিদ্যালয় থাকার পাশাপাশি এসব দেশে স্নাতক শেষের পর ওয়ার্ক ভিসা দেওয়া হয়। এশিয়া ও ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশ বিদেশিদের কম খরচে পড়ার সুযোগ দেয়। আর্থিক সংকুলান না হলে আছে স্কলারশিপের ব্যবস্থা। এমন কিছু দেশ আছে যারা বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য খুবই কম খরচে উন্নত শিক্ষার পাশাপাশি চাকরিরও সুযোগ প্রদান করে। ফলে, শিক্ষা ও জীবনধারণের ব্যয় সহজ হয়ে যায়।
শিক্ষাবিষয়ক প্ল্যাটফর্ম এরুডেরা, শিক্ষার্থীদের পছন্দমতো বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচনে যারা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সহায়তা করে, ইউরোপের এমন কিছু দেশের তালিকা করেছে, যেখানে উচ্চশিক্ষায় খরচ একেবারে কম। যেমন অস্ট্রিয়া, সাইপ্রাস, ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, জার্মানি, আইসল্যান্ড, মাল্টা, নরওয়ে, পোল্যান্ড, স্লোভেনিয়া, স্লোভাকিয়া ও সুইডেন অনেক দেশের নাগরিকদের জন্য নিখরচায় পড়ালেখার ব্যবস্থা করে।
নিচে বিশ্ববিদ্যালয়ে টিউশন ফি ও জীবনযাত্রার ব্যয় কম এমন দেশগুলোর মধ্যে ১৩ টির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
ফ্রান্স
ফ্রান্সের বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, সংস্কৃতির পাশাপাশি শিক্ষা ব্যবস্থাও অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক সমৃদ্ধ। উন্নত জীবনযাত্রা, শক্তিশালী অর্থনীতি ও মানসম্মত সময়োপযোগী শিক্ষার পরিবেশ থাকায় উচ্চশিক্ষা লাভের জন্য আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে ইউরোপের এই দেশ। ফ্রান্সে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত এবং বাইরের দেশগুলোর জন্য হিসাব একটু আলাদা। ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত কোনো দেশের শিক্ষার্থীর বছরে খরচ পড়বে ৪০০ ডলারের মতো। এর বাইরের দেশগুলোর শিক্ষার্থীদের স্নাতকে বার্ষিক টিউশন ফি ৩ হাজার ডলারের মতো, অন্যদিকে স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীদের এই খরচ ৪ হাজার ডলারের মতো। প্রতি মাসে জীবনযাত্রার ব্যয় ৯৫০ ডলারের মতো।
এখানে লাইসেন্স (স্নাতক) স্তরে বছরে খরচ হতে পারে ২ হাজার ৭৭০ ইউরো (প্রায় ২ লাখ ৬৭ হাজার টাকা)। মাস্টার লেভেলে বছরে খরচ হতে পারে ৩ হাজার ৭৭০ ইউরো বা ৩ লাখ ৬৩ হাজার ৪০০ টাকা। জীবনযাত্রার জন্য প্যারিস, নিস, লিয়ন, ন্যান্টেস, বোর্দো বা টুলুজের মতো অভিজাত শহরগুলো বাদ দিয়ে ছোট শহর বেছে নিলে ৬৫০ ইউরোর (প্রায় ৬২ হাজার ৬৫০ টাকা) কমে থাকা যাবে।
জার্মানি
বর্তমানে ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে শিক্ষার্থীদের পছন্দের বিবেচনায় সম্ভবত সবচেয়ে এগিয়ে জার্মানি। সাধারণত জার্মানিতে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে একজন বিদেশি শিক্ষার্থীর সেমিস্টার প্রতি ৩১৫ থেকে ৫৩০ ডলার খরচ হবে। প্রতি মাসে থাকা-খাওয়ার অর্থাৎ জীবনযাত্রার ব্যয় পড়বে ৯৫০ ডলারের মতো। স্নাতক করার পর ১৮ মাসের পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন ওয়র্ক ভিসা মেলে এখানে। এমনকি এখানে কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে টিউশন ফিই নেই।
পোল্যান্ড
পোল্যান্ডের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রতিও আগ্রহ বাড়ছে বিদেশি শিক্ষার্থীদের। ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত নয় এমন দেশগুলোর শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ভেদে বছরে টিউশন ফি ২০০০ ডলার থেকে ৬ হাজার ২০০ ডলার। মাসিক জীবনযাত্রার ব্যয় ৪০০ ডলার থেকে ৬২৫ ডলার হতে পারে। স্নাতক করার পর ৯ মাস পর্যন্ত ওয়র্ক বা কাজের ভিসা পেতে পারেন শিক্ষার্থীরা।
নরওয়ে
নরওয়ে দিনে দিনে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। কারণ এখানকার অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে টিউশন ফি দিতে হবে না আপনাকে। তবে এখন ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত নয় এমন দেশগুলোর শিক্ষার্থীদের থেকে টিউশন ফি নেওয়ার চিন্তা-ভাবনা চলছে। কোনো কোনো বিষয়ের খরচ সে ক্ষেত্রে ১৩ হাজার ডলারের মতো পড়তে পারে। এখানে মাসিক জীবনযাত্রার ব্যয় ৭৩৫ থেকে ৯৫০ ডলার পর্যন্ত হতে পারে। শিক্ষার্থীরা এখানে পড়ালেখার পাশাপাশি সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা পর্যন্ত কাজ করার সুযোগ পান। স্নাতক শেষের পর এক বছরের ওয়র্ক ভিসা বা কাজের ভিসা পান।
অস্ট্রিয়া
উরোপের প্রাণকেন্দ্র অস্ট্রিয়া যে কোনো শিক্ষার্থীর স্বপ্ন পূরণে আকর্ষণীয় স্থান হতে পারে। ইইউ (ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন)/ইইএ (ইউরোপিয়ান ইকোনোমিক এরিয়া) দেশগুলোর শিক্ষার্থীদের জন্য এ দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর টিউশন ফি একদম ফ্রি। কিন্তু, নন-ইউ/ইইএ দেশগুলোর শিক্ষার্থীদের জন্য এখানকার পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো প্রতি সেমিস্টারে ২০ ইউরো (প্রায় ১ হাজার ৯২৭ টাকা) ছাড়াও টিউশন ফি বাবদ গড়ে ৭২৬ ইউরো (প্রায় ৭০ হাজার টাকা) ধার্য করে। তবে, বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশের শিক্ষার্থীদের জন্য অস্ট্রিয়ার অনেক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় টিউশন ফি মুক্ত। এ তালিকায় আছে ভিয়েনা বিশ্ববিদ্যালয়, ভিয়েনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ইনসব্রুক বিশ্ববিদ্যালয়, জোহানেস কেপলার ইউনিভার্সিটি লিঞ্জ, গ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয় ও লিওবেন বিশ্ববিদ্যালয়।
মেক্সিকো
বিদেশি শিক্ষার্থীদের মধ্যে মেক্সিকো বহুল চর্চিত একটা নাম। মেক্সিকোর সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বছরে বিদেশি শিক্ষার্থীদের থেকে ৪০০ থেকে ৮০০ ডলার টিউশন ফি নেয়। অপরদিকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নেয় ১ হাজার ৬০০ থেকে ১৬ হাজার ডলার। মেক্সিকো এ ধরনের শিক্ষার্থীদের মাসিক জীবনযাত্রার ব্যয় ১০০০ ডলারের মতো।
ভারত
আপনি যদি কম খরচে ভিন্ন সংস্কৃতির শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ইংরেজিতে পড়াশোনা করতে চান, তাহলে ভারত আপনার জন্য আদর্শ জায়গা ৷ গত বছর ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, গত এক দশকের কম সময়ের মধ্যে দেশটিতে বিদেশি শিক্ষার্থী আসা ৪২ শতাংশ বেড়েছে। টিউশন ফি কোর্স আর বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর নির্ভর করে। তবে গড়ে বছরে এ খরচ ১ হাজার ১০০ থেকে ৫ হাজার ৪০০ ডলার। জীবনযাত্রার ব্যয় মাসে ২৭০ থেকে ৪০০ ডলার।
হাঙ্গেরি
বৈচিত্র্য ও বহুসংস্কৃতির চমৎকার মেলবন্ধন চোখের পড়বে হাঙ্গেরিতে ঘুরতে গেলে। এ দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বিদেশি শিক্ষার্থীদের দৃষ্টি আকর্ষণে সক্ষম। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো টিউশন ফির দিক থেকে পশ্চিমের সমকক্ষদের তুলনায় অনেক সাশ্রয়ী। একজন বিদেশি শিক্ষার্থীকে প্রতি বছর ১ হাজার ২০০ থেকে ৫ হাজার ইউরোর (প্রায় ১ লাখ ১৫ হাজার ৬৬০ থেকে ৪ লাখ ৮১ হাজার টাকা) প্রস্তুতি নিতে হয়। এ ছাড়া, বসবাসের জন্য প্রয়োজন ৩৭৫ থেকে ৭০০ ইউরো (প্রায় ৩৬ হাজার ১৪০ থেকে ৬৭ হাজার ৪৭০ টাকা)। এটি অবশ্যই শহর ভেদে ভিন্ন হয়। আবাসন, খাবার, পরিবহনসহ আনুষঙ্গিক বিষয় বিবেচনা করে রাজধানী বুদাপেস্টে থাকতে গেলে প্রতি মাসে ৬০০ ইউরোর (প্রায় ৫৭ হাজার ৮৩০ টাকা) প্রয়োজন। ছোট শহরে প্রতি মাসে ৬০০ ইউরোর (প্রায় ৪৮ হাজার ২০০ টাকা) প্রয়োজন হতে পারে।
আর্জেন্টিনা
আর্জেন্টিনায় বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য নানা ধরনের বৃত্তির ব্যবস্থা আছে। সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখার খরচ নেই। বেশির ভাগ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে টিউশন ফি ৫ হাজার থেকে ১৫ হাজার ডলার। অপরদিকে মাসিক জীবনযাত্রার খরচ ৩৫০ ডলারের আশপাশে।
আরও পড়ুন: আইইএলটিএস ছাড়াই ফ্রান্সে উচ্চশিক্ষার সুযোগ
তাইওয়ান
আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য প্রযুক্তি, ইতিহাস, রান্না, সংস্কৃতি, ভাষা ও প্রাকৃতিক সম্পদসহ অনেক বিষয়ে অভিজ্ঞতা নেওয়ার সুযোগে ভরপুর এশিয়ার স্বঘোষিত এই দ্বীপদেশটি। এখানে বেশি কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশি শিক্ষার্থীরা ইংরেজিতে পড়ছেন। বহুসাংস্কৃতিক ও ইতিহাসসমৃদ্ধ তাইওয়ান বিদেশি শিক্ষার্থীদের আন্তরিকভাবে স্বাগত জানায়। এখানে সাবলীলভাবে চলাফেরা করা যায়। বেশ কয়েক বছর ধরে তাইওয়ানের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থা বেশ জনপ্রিয়। তাইওয়ানের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় পড়ার খরচ প্রতি বছর ৬৭৫ থেকে ১২ হাজার ৭০০ ইউরো (প্রায় ৬৫ হাজার টাকা থেকে ১২ লাখ ২৪ হাজার টাকা)। এখানে প্রতি মাসে কমপক্ষে প্রায় ৬৮০ থেকে ৮৮০ ইউরো (প্রায় ৬৫ হাজার ৫৪০ থেকে ৮৪ হাজার ৮২০ টাকা) খরচ করতে হবে।
মালয়েশিয়া
মালয়েশিয়াতে আনুমানিক ১ লাখ ২০ হাজার বিদেশি শিক্ষার্থী পড়ালেখা করেন। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীদের কাছে মালয়েশিয়া জনপ্রিয়তা পাওয়ার কারণ এখানে পড়ালেখার খরচ কম। পাশাপাশি পৃথিবীর অনেক নামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা আছে এখানে। স্নাতকের শিক্ষার্থীদের মাসিক টিউশন ফি ৪ হাজার ডলারের আশপাশে।
তুরস্ক
এশিয়া ও ইউরোপকে স্পর্শ করে গড়ে ওঠা তুরস্ক স্থাপত্য বিস্ময় ও হট এয়ার বেলুন ট্রিপের জন্য বিখ্যাত। এখানকার যে বিষয়টি বিদেশি শিক্ষার্থীদের নজর কাড়ে তা হলো এর মানসম্পন্ন শিক্ষা ব্যবস্থা। দেশটি ইউরোপীয় উচ্চশিক্ষা অঞ্চলের অংশ যা 'বোলোগনা প্রক্রিয়া' হিসেবে পরিচিত। এ কারণে তুরস্কের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ডিপ্লোমা বা অন্যান্য ডিগ্রি ইউরোপে স্বীকৃত। তুরস্কের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সাশ্রয়ী। একজন শিক্ষার্থীকে সাধারণত প্রতি শিক্ষাবর্ষে ১০০ থেকে ৪ হাজার ইউরোর (প্রায় ৯ হাজার ৬৪০ থেকে ৩ লাখ ৮৫ হাজার ৫২৬ টাকা) মতো খরচ করতে হয়।
দক্ষিণ আফ্রিকা
দক্ষিণ আফ্রিকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রতি বছর বিদেশি শিক্ষার্থী পড়ালেখা করেন ৪০ হাজারের বেশি। ইউনিভার্সিটি অব কেপটাউনে গড় খরচ ছয় হাজার ডলারের মতো। মাসিক জীবনযাত্রার ব্যয় ৭৫০ ডলারের মতো।
শিক্ষার্থীদের খরচের পাশাপাশি যে দেশে পড়ালেখা করবে সেখানকার সংস্কৃতি, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান ও ভবিষ্যতে চাকরির বাজারে টিকে থাকার জন্য কতটা প্রস্তুতি হবে সে বিষয়গুলোও মাথায় রাখতে হবে।
এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পর এখন শিক্ষার্থীদের ভর্তি পছন্দের তালিকায় যেমন বাংলাদেশের অনেক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে, তেমনি অনেকে বিদেশে পড়তে যাবার কথাও ভাবছেন। আসলে উচ্চমাধ্যমিকের পরেই বাইরে পড়াশোনার করতে যাবার মোক্ষম সময়। এইচএসসি-র পর বিদেশে পড়তে গেলে অনেক বিষয় সম্পর্কে নতুন দৃষ্টিভঙ্গিতে ভাবতে শেখা এবং স্বাধীনভাবে জীবনযাপন করতে শেখার ফলে শিক্ষার্থীরা অন্যদের তুলনায় অধিক দক্ষভাবে চিন্তা ও কাজ করতে শেখে।