বাবা ঢাবির সাবেক শিক্ষার্থী, ছেলে মেডিকেলে প্রথম

ছবিতে রাফসান জামান এবং তার বাবা
ছবিতে রাফসান জামান এবং তার বাবা  © সংগৃহীত

দেশের সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম হয়েছেন রাজশাহী ক্যাডেট কলেজের শিক্ষার্থী রাফসান জামান। ভর্তি পরীক্ষায় ১০০ নম্বরের মধ্যে ৯৪ দশমিক ২৫ নম্বর পেয়েছেন তিনি। 

রাফসানের বাবা একেএম শামসুজ্জামান। বর্তমানে তিনি চট্টগ্রামে চাকরি করছেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী। রাফসানের মতো তিনিও রাজশাহী ক্যাডেট কলেজ থেকে পড়ালেখা করেছেন।

ছেলের এমন কৃতিত্বে আনন্দিত শামসুজ্জামান। ফল প্রকাশের সময় চট্টগ্রামের সিটি গেইট এলাকায় অবস্থান করছিলেন তিনি। ছেলের এমন ফলাফলে তার কর্মস্থলের সবাই খুব খুশি।  

শামসুজ্জামান বলেন, আমাদের ছেলে মেধাবী সেটি আমরা নিশ্চিত। কিন্তু এতো ভালো ফলাফল করবে সেটা আমরা নিশ্চিত ছিলাম না। ছেলে মেডিকেলে প্রথম হয়েছে শুনে আমি অবাক হয়েছি। পড়ালেখার প্রতি তার যে মনোযোগ সেটিই তাকে এ পর্যন্ত নিয়ে এসেছে।

রোববার (১২ মার্চ) দুপুর দুইটায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কনফারেন্স রুমে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা ফল ঘোষণা করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

ফল প্রকাশের পর গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রাফসান জানিয়েছেন, মোবাইল ফোনের প্রতি কোনোভাবেই আসক্ত ছিলেন না তিনি। পড়াশোনা নিয়েই ব্যস্ত থাকতেন। এইচএসসি পরীক্ষা শেষে কোচিং সেন্টারের কিছু তথ্য আদান প্রদানের জন্য মোবাইল ফোন ব্যবহার করতেন। বর্তমান জেনারেশন মোবাইল ফোনে আসক্ত হয়েছে। যার কারণে পড়াশোনার চেয়ে অন্য বিষয়ে মনোযোগী হয়ে পড়েছেন বলেও জানান তিনি।  

রাফসানের মা কাউছার নাজনীন মনি বলেন, যখন থেকে রাফসান মেডিকেলে ভর্তির পড়াশোনা শুরু করেছে তখন থেকে ওর সঙ্গে থাকতাম। হয়তো কখনও ঘুমিয়ে গেছে। তবে যখই সে উঠে বাথরুমে বা অন্য কাজে যেত তখন মনে হতো ওর কিছু দরকার কিনা। কফি বানিয়ে বসে থাকতাম ওর পাশে। এখন এসবের ফল পাচ্ছি, ছেলে পুরো দেশে ফার্স্ট হয়েছে, আশা করি এর চেয়েও বড় সাফল্য ভবিষ্যতে আসবে।

রাফসানরা এক ভাই এক বোন। বড় বোন সাদিয়া ইবনাতও মেধাবী। তিনি চট্টগ্রাম প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থাপত্য বিষয়ে স্নাতক শেষ করেছেন।

নিজের সফলতা সম্পর্কে রাফসান বলেন, ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে কনফিডেন্স ছিল কিন্তু প্রথম হবো এটা ভাবিনি। প্রথম যখন রেজাল্ট শুনেছিলাম তখন বিশ্বাস হয়নি। দুপুরের পর কোচিং থেকে ফোন করে রেজাল্ট জানানো হয়। প্রথমে বিশ্বাস হয়নি। পরে নিজের চোখে রোল নম্বর দেখে বিশ্বাস করি।

মোবাইল ফোনের প্রতি কোনোভাবেই আমি আসক্ত ছিলাম না জানিয়ে তিনি আরও বলেন, আমি পড়াশোনা নিয়েই ব্যস্ত ছিলাম। এইচএসসি পরীক্ষা শেষে কোচিং সেন্টারের কিছু তথ্য আদান প্রদানের জন্য মোবাইল ফোন ব্যবহার করতাম। বর্তমান জেনারেশন মোবাইল ফোনে আসক্ত হয়েছে। যার কারণে পড়াশোনার চেয়ে অন্য বিষয়ে মনোযোগী হয়ে পড়েছেন।