মেসে থাকা ছাত্রীর গোপন ভিডিও ধারণ, খুবি ছাত্রকে গণপিটুনি
- খুবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৫ এপ্রিল ২০২২, ০২:০৪ PM , আপডেট: ০৫ এপ্রিল ২০২২, ০২:৩৫ PM
ক্যাম্পাসের পাশে ছাত্রী মেসে গোপনে এক ছাত্রীর আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করার অভিযোগে উঠেছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) সদ্য সাবেক এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। পরে মারধর করায় অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা গেছে, ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী একই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। গত শনিবার বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন ইসলাম নগরের শাহ শিরীন সড়কের একটি ছাত্রী মেস থেকে ওই ছাত্রীর আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করা হয়।
আরও পড়ুন: শিক্ষক বাবার মেয়ে হলেন মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম
এরপর আজ মঙ্গলবার ভোরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা সিসিটিভি ক্যামেরা দেখে ওই ছাত্রকে শনাক্ত ও আটক করে। এরপর তাকে গণপিটুনি দেওয়া হয় এবং তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে আটকে রাখেন শিক্ষার্থীরা। পরে সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক পরিচালকের হস্তক্ষেপে অভিযুক্তকে হল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা অফিসে এনে রাখা হয়।
ভুক্তভোগী ছাত্রীর এক সহপাঠী জানান, ঘটনার দিন রাতে অভিযুক্ত শিক্ষার্থী মেসের ওয়াশরুমের ভেন্টিলেটর দিয়ে ফ্লাশ জালিয়ে ভিডিও ধারণ করছিল। পরবর্তীতে ওই ছাত্রী টের পেয়ে সহপাঠীদেরকে বিষয়টি জানান। সিসিটিভির ফুটেজ দেখে শনাক্ত করা হয়। এরপরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মাঠে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করার পরে মারধর করা হয়। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সহকারী ছাত্র বিষয়ক পরিচালক তাকে উদ্ধার করে হলে নিয়ে যায়।
প্রতক্ষ্যদর্শীর বর্ণনায় জানা যায়, তার ফোনে যথেষ্ট প্রমাণ ছিল এই কাজে যুক্ত থাকায়। এর ভিত্তিতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সে দোষ স্বীকার করে। উপস্থিত শিক্ষার্থীরা তাকে মারধর করে। মারধরের পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাকে সেখানে উপস্থিত হয়ে তাকে একটা হলে নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: শিবিরের পোস্টার লাগানোর অভিযোগে দুই ছাত্রকে পুলিশে দিল ছাত্রলীগ
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক পরিচালক অধ্যাপক মো. শরীফ হাসান লিমন বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের সদ্য সাবেক শিক্ষার্থী হওয়ায় আমরা তার বিরুদ্ধে কোন ধরনের পদক্ষেপ নিতে পারবো না। তবে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা যদি মামলা করে তবে এ ব্যাপারে সবধরনের সাপোর্ট দেওয়া হবে। বর্তমানে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীকে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।