দিনব্যাপী নানা আয়োজনে ববি বাঁধনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী
- ববি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৮:০২ PM , আপডেট: ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৮:১৭ PM
শোভাযাত্রা, বৃক্ষরোপণ, বিনামূল্য রক্তের গ্রুপিং সহ দিনব্যাপী বণ্যার্ঢ্য আয়োজনে স্বেচ্ছায় রক্তদাতাদের সংগঠন বাঁধনের বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিটের চতুর্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে। শুক্রবার (৩০ আগস্ট) প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী থাকলেও সাপ্তাহিক ছুটি থাকার কারণে রবিবার উদযাপন করেছে সংগঠনটি।
এ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাউন্ড ফ্লোর থেকে সকাল ১১টার দিকে একটি শোভাযাত্রা বের করে সংগঠনটি। শোভাযাত্রাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক হয়ে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে দিয়ে এসে মুক্তমঞ্চঘুরে কেন্দ্রীয় ক্যাফেটিয়ার সামনে এসে শেষ হয়। পরে ছাত্র-শিক্ষক মিলনাতায়নে বাঁধন অফিসে কেক কাটা হয়। কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ার সামনে একটি কাঠগোলাপ গাছও এসময় রোপণ করা হয়।বৃক্ষরোপণ শেষে গ্রাউন্ড ফ্লোরে বিনামূল্য রক্তের গ্রুপিং নির্ণয় কর্মসূচি পালন করে সংগঠনটি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় বাঁধন ইউনিটের উপদেষ্টা ও শিক্ষক শিক্ষক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো: সিরাজিস সাদিক, উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক মো: উজ্জ্বল হোসেন, ভূতত্ত্ব ও খনি বিদ্যা বিভাগের প্রভাষক হাসনাত জামান, ছাত্র উপদেষ্টা ছোটন্দ্রনাথ চক্রবর্তী সহ সকল বাঁধন কর্মী ও ডোনাররা।
মো. সিরাজিস সাদিক বলেন, বাঁধন কর্মীরা আসলেই যেটা করেন। বাঁধনের এই অনবদ্ধ অবদানকে অস্বীকার করার মতো কোন সুস্থ মানুষ সমাজে থাকতে পারেন না। অসুস্থ হলে করতে পারেন। তোমার যারা বাঁধনের সাথে স্বতঃস্ফূর্তভাবে কাজ করো এটাই বাঁধনের সব থেকে বড় শক্তি। বাঁধন তো তোমাদের কিছু দেয় না। কোন অর্থ দেয় না। তাঁরপরেও তোমাদের কর্মনিষ্ঠা আমাদের মুগ্ধ করে।
তিনি আরো বলেন, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের গোড়াপত্তনে ১ম, ২য়, ৩য় ব্যাচের শিক্ষার্থীদের অনেক বড় অবদান রয়েছে। বড়দের অবদান সবসময় মাথার উপরে রেখে কাজ করতে হবে। আমাদের অনেক ডাইনামিক লিডারশীপ দরকার। বরিশালে অনেক প্রতিষ্ঠান থাকতে পারে। কিন্তু তোমার কোয়ালিটিই তাদের থেকে ভিন্ন রূপে ফুটিয়ে তুলবে। দক্ষ নেতৃত্বে বাঁধনকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
ভূতত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক হাসনাত জামান বলেন, বাঁধনের প্রধান কাজই হচ্ছে রক্তদানকে একটি সামাজিক আন্দোলনে রূপান্তর করা। আমার কোন সমস্যা হলে আমার পরিবারই আমাকে দেন রক্ত দান করে। অন্যকারো থেকে যেন নিতে না হয়। ব্যতিক্রম থাকতে পারে। যেমন কারো যদি এ নেগেটিভ রক্ত লাগে কিন্ত তার পরিবারের কারো এ নেগেটিভ নেই। সেক্ষেত্রে বাইরে থেকে নিতে পারে।
তিনি আরো বলেন, বাঁধনের লক্ষ্যেই হচ্ছে এমন একদিন আসবে যেদিন বাঁধনের আর প্রয়োজন হবে না। বাঁধনের সমন্বয়ও থাকবে না। একজন মানুষ অন্য একজন মানুষকে বিভিন্ন ভাবে সাহায্যে করতে পারে। কিন্তু বাঁধনের মত রক্তদান করে এমন ভাবে যে সাহায্যে করে তার অল্টারনেটিভ এখনো তৈরি হয়নি। মানুষ চাঁদে পৌচ্ছাতে পেরেছে কিন্তু রক্তের এখনো বিকল্প তৈরি হয়নি।
বাঁধনের ববি ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক আজহারুল ইসলাম বলেন, একের রক্ত অন্যের জীবন, রক্তই হোক আত্মার বাঁধন। এই স্লোগান নিয়েই আমাদের পথ চলা। আমরা স্বপ্ন দেখি সেদিনের যেদিন বাংলার ঘরে ঘরে সবাই রক্তের গ্রুপ সম্পূর্কে জানবে এবং স্বেচ্ছায় রক্তদানে এগিয়ে আসবে। বাঁধন, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিট সে লক্ষ্যে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।