সাপ আতঙ্কে ইবি শিক্ষার্থীরা

  © টিডিসি ফটো

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) ক্যাম্পাসে বাড়ছে বিষাক্ত সাপের উপদ্রব। পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকা ও ক্যাম্পাসের ঝোঁপঝাড় ঠিকমত পরিষ্কারের অভাবে দিন দিন বেড়েই চলেছে সাপের এ উপদ্রব। এর ফলে আতঙ্কে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলের শিক্ষার্থীরা।

ক্যাম্পাসের আবাসিক এলাকাসহ বিভিন্ন স্থান ঝোঁপঝাড়ে পূর্ণ হয়ে যাওয়ায় সন্ধ্যার পর বিষাক্ত সাপ ঝোঁপঝাড় থেকে বেরিয়ে আসছে প্রতিনিয়ত। আবাসিক হল, রাস্তাঘাটসহ বিভিন্ন স্থানে অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছে এসব সাপ। এতে আবাসিক হলসহ রাস্তাঘাটে চলাচল অনেকটা অনিরাপদ হয়ে পড়েছে।

গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের বিদেশী ব্লকের একটি কক্ষে দুইটা সাপ দেখা যায়। এসময় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন শিক্ষার্থীরা। পরে অনেক চেষ্টার পর তারা একটি সাপ মারতে সক্ষম হয়, বাকিটা পালিয়ে যায়। এরপর যে কক্ষে সাপ দেখা যায়, ওই কক্ষের শিক্ষার্থীরা বাইরে অবস্থান করেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ওই কক্ষের শিক্ষার্থী কৃষান পাল বলেন, ‘গতকাল সন্ধ্যায় রুমে ঢুকে ফ্রেশ হওয়ার জন্য ওয়াশরুমে যাই। এরপর ওয়াশ রুমে দেখি দুইটা সাপের বাচ্চা অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এটা দেখে আমি চমকে উঠি। পরে সবাইকে ডেকে লাঠি দিয়ে একটা সাপ মারতে সক্ষম হই, বাকিটা পালিয়ে যায়।’

সাপের এই উপদ্রব বাড়ায় বেশি অনিরাপদ হয়ে পড়েছে ক্যাম্পাসের আবাসিক হলের নিচ তলার কক্ষ ও বাথরুমগুলো। গরমের কারণে সন্ধ্যার পর প্রায়ই এসব জায়গায় দেখা মিলছে সাপের। বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের শিক্ষার্থী অহীনা দিপ্তি বলেন, ‘গত কয়েকদিন আগে আমাদের হলের বাথরুমে একটি সাপ দেখা যায়। পরে আমরা সাপটিকে মেরে ফেলি।’

এদিকে ক্যাম্পাসে সাপের এই উপদ্রব বাড়ায় আতঙ্কে আছেন শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন তারা। তাই সাপ নিধনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সাদ্দাম হোসেন হলের শিক্ষার্থী মু. আবু তাহের বলেন, ‘ক্যাম্পাসে সাপের উপদ্রব এতোটাই বেড়েছে যে, যেখানে সেখানের যেতে ভয় পাচ্ছি। গত কয়েকদিন আগে সাদ্দাম হলের গেটে বসে থাকাবস্থায় হঠাৎ একটি গখরা সাপ আমাদের পাশ দিয়ে চলে গিয়েছিল। যেটি খুবই ভয়ানক। আমরা চাই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সাপ নিধনে দ্রুত ব্যবস্থা নিক। তা না হলে যেকোন সময় ভয়ানক পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্ম্মন বলেন, ‘ক্যাম্পাসে ঝোঁপঝাড় পরিষ্কার অব্যাহত আছে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে এন্টিভেনম (সাপে কামড়ের ঔষধ) এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। তারপরও বিষয়টি প্রভোষ্টের মাধ্যমে জানালে এষ্টেট অফিস থেকে কার্বোলিক এসিডের ব্যবস্থা করা হবে।’


সর্বশেষ সংবাদ