হাবিবুর রহমান হল ও বানী ভবনের নির্মাণকাজ শিগগিরই শুরু হবে: জবি উপাচার্য
- জবি প্রদায়ক
- প্রকাশ: ০৩ মে ২০২৫, ০৪:৫৯ PM , আপডেট: ২২ জুন ২০২৫, ০৩:১৭ PM

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম বলেছেন, হাবিবুর রহমান হল ও বানী ভবনের নির্মাণকাজ অচিরেই শুরু হবে। প্রকল্পটি বর্তমানে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে একনেক বৈঠকের অপেক্ষায় রয়েছে। এ সভা শেষ হলেই দ্রুত কাজ শুরু করা হবে। ইতোমধ্যে প্রকল্পটি ইউজিসি, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পেয়েছে। এখন শুধু সময়ের ব্যাপার।
আজ শনিবার (৩ মে) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত আন্তঃবিভাগ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট ২০২৪-এ চ্যাম্পিয়ন দলের খেলোয়াড়দের সংবর্ধনা ও সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ১০০৭বি নম্বর কক্ষে।
উপাচার্য বলেন, ‘বর্তমান সরকারের আমলে আমাদের প্রকল্পগুলোর অগ্রগতি অনেক দ্রুত হয়েছে। অন্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে এতটা অগ্রগতি দেখা যায়নি। শিক্ষার্থীদের ধৈর্য ধরতে হবে। আমরা বিশ্বাস করি, খুব শিগগির তারা নতুন আবাসন সুবিধা ভোগ করতে পারবে। তবে দ্বিতীয় ক্যাম্পাস বাস্তবায়নে কিছু জমি অধিগ্রহণের কাজ এখনো বাকি রয়েছে, যা সমাধান না হলে কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি সম্ভব নয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক পরিচালনা নিয়ে মো. রেজাউল করিম বলেন, ‘আমরা বরাদ্দপ্রাপ্ত অর্থ সঠিকভাবে ব্যবহার করেছি এবং উদ্বৃত্ত অর্থ ফেরত দিয়েছি। এমন ঘটনার সংখ্যা ১০-২০টি ছাড়িয়েছে, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বচ্ছতা ও সততার প্রতিফলন।’
আরও পড়ুন: শিক্ষা ছুটিতে গিয়ে ফিরলেন না ঢাবি শিক্ষক ফাতেমা, পাওনা ৫০ লাখ টাকা
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সাবিনা শারমিন বলেন, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থীরা ক্রীড়া, বিতর্ক, আবৃত্তিসহ নানা সহশিক্ষা কার্যক্রমে সাফল্যের স্বাক্ষর রেখেছে। তাদের পদচারণ সমাজের সব স্তরে ছড়িয়ে পড়ছে।
তিনি জানান, প্রশাসনিক ভবনে লিফট স্থাপনের কাজ শুরু করা হচ্ছে। একবার ইউজিসি চেয়ারম্যান সিঁড়ি দেখে ওপরে উঠেননি, এমনকি এক গর্ভবতী নারী শিক্ষিকাও সমস্যায় পড়েছেন। এসব বাস্তব সমস্যা বিবেচনায় নিয়েই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মোস্তফা হাসান বলেন, ‘আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের মতোই ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ যেন আলোকবর্তিকা হয়ে উঠতে পারে, আমরা সে প্রত্যাশাই করি।’
মার্কেটিং বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. ইমরানুল হক বলেন, চ্যাম্পিয়ন হওয়া এক ব্যাপার, তবে সেই অর্জনকে যথাযথভাবে উদযাপন করাও একটি দৃষ্টান্ত। এই বিভাগ সেটা করে দেখিয়েছে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘আমাদের শিক্ষার্থীরা খেলায় যেমন দক্ষ, তেমনি তারা সামাজিক সচেতনতামূলক কর্মকাণ্ডেও সরব। তাদের জন্য বাজেট বাড়ানো জরুরি, যাতে তারা নিজেদের আরও বিকশিত করতে পারে।’
প্রসঙ্গত, ২৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আন্তঃবিভাগ ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ ফাইনালে অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগকে ৫ উইকেটে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে।
আরও পড়ুন: রাবির ‘সি’ ইউনিটের বিজ্ঞান গ্রুপে প্রথম রোহান-আহনাফ, অ-বিজ্ঞানে হালিমা
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মো. শেখ গিয়াস উদ্দিন, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক, হিসাব পরিচালক অধ্যাপক ড. শেখ রফিকুল ইসলাম, গবেষণা সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. ইমরানুল হক, ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বিলাল হোসাইন ও ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ নূরুল্লাহ। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সহকারী অধ্যাপক মুহাম্মদ কামরুল ইসলাম।
চ্যাম্পিয়ন দলের খেলোয়াড়দের ও ইনডোর গেমস চ্যাম্পিয়ন শিক্ষার্থীকে ব্লেজার পরিয়ে সম্মান জানানো হয়।