শিক্ষার্থীদের তথ্য ফাঁস: সমালোচনার মুখে ছবি সরাল জবি প্রশাসন
- জবি কন্ট্রিবিউটর
- প্রকাশ: ২১ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:০৪ PM , আপডেট: ২১ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:০৪ PM

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) যাকাত ও কল্যাণ তহবিল (যাক-তহবিল, জবিপ)-এর ৮ম বৃত্তি প্রকল্প (২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ) উপলক্ষে সাক্ষাৎকারের সময়সূচি প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, চলতি বছরের ২৪ এপ্রিল সিরিয়াল নম্বর ১ থেকে ৩২০ পর্যন্ত এবং ২৭ এপ্রিল সিরিয়াল নম্বর ৩২১ থেকে ৫৬৩ পর্যন্ত আবেদনকারী শিক্ষার্থীদের সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠিত হবে। সাক্ষাৎকারের স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে সমাজকর্ম বিভাগের দ্বিতীয় তলা, সময় সকাল ৯টা থেকে বেলা সাড়ে ৩টা পর্যন্ত।
তবে এ বিজ্ঞপ্তির সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ, তথ্য ও প্রকাশনা দপ্তরের পক্ষ থেকে আবেদনকারী শিক্ষার্থীদের নাম ও মোবাইল নম্বরসহ একটি তালিকা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করায় সমালোচনা শুরু হয়। নিরাপত্তাজনিত ঝুঁকি ও গোপনীয়তা লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে শিক্ষার্থী ও সচেতন নাগরিকরা বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ জানালে, কর্তৃপক্ষ পোস্ট থেকে তালিকাযুক্ত ছবিগুলো সরিয়ে নেয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থী জানিয়েছেন, এ ধরনের তথ্য প্রকাশ তাদের নিরাপত্তার জন্য হুমকি স্বরূপ, যা একাডেমিক পরিবেশ ও ব্যক্তিগত গোপনীয়তার পরিপন্থি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো ব্যাখ্যা পাওয়া না গেলেও, সংশ্লিষ্ট বিভাগ তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ হিসেবে পোস্ট থেকে নাম ও ফোন নাম্বারযুক্ত তালিকার ছবি সরিয়ে ফেলেছে বলে জানা গেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসাদুজ্জামান সাদি লিখেন, ‘শিক্ষার্থীদের আইডি দিয়ে তালিকা প্রকাশ করা যেত। এভাবে প্রকাশ করাকে ঠিক মনে করি না।’
শিক্ষার্থীরা এ ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত ও ভবিষ্যতে এ ধরনের গাফিলতি এড়াতে একটি সুনির্দিষ্ট গোপনীয়তা নীতি প্রণয়নের দাবি জানিয়েছেন।
এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ, তথ্য ও প্রকাশনা দপ্তরের ফেসবুক পেজে নিয়মিত প্রকাশিত বিভিন্ন ছবি ও স্ক্যান করা ডকুমেন্টের গুণগত মান নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। খারাপ রেজুলেশনের ছবি, অস্পষ্ট নথি এবং প্রয়োজনীয় তথ্য উপস্থাপনার ঘাটতি—এই বিষয়গুলো নিয়েও একাধিকবার সমালোচনা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ, তথ্য ও প্রকাশনা দপ্তরের পরিচালক ড. মোহাম্মদ আনুয়ারুস সালাম দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানান, ‘এটা ইতোমধ্যেই উইথড্র করা হয়েছে। যদিও পেইজটি আমার দায়িত্বে, তখন আমাকে লিস্টটি পাবলিশ করতে বলা হলে ঠিকভাবে খেয়াল করা হয়নি। যদিও আমি দেখে পাবলিশ করতে বলেছিলাম। বিষয়টি অবশ্যই অনুচিত হয়েছে। এটি শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার জন্য নেতিবাচক। আমরা ভবিষ্যতে আরও সতর্ক থাকবো।’