ইবির পরিবহন পুল সংস্কারের দাবিতে মানববন্ধন
- ইবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:০৫ PM , আপডেট: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭:১১ PM

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিটনেসবিহীন সকল বাস অপসারণ করে দ্রুত নিজ অর্থায়নে বাস ক্রয় এবং প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ড্রাইভার নিয়োগ সহ পরিবহন পুল সংস্কারের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের নেতৃবৃন্দ। একইসাথে পরিবহন প্রশাসকের পদত্যাগ চেয়েও মানববন্ধন করেছেন তারা।
বুধবার ( ২৬ ফেব্রুয়ারি) বেলা দেড়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এসময়ে ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি মাহমুদুল হাসান, সাধারণ সম্পাদক নুরে আলম, সহ-সভাপতি উদয় দেবনাথ, সাদিয়া মিম, দপ্তর সম্পাদক মনির হোসেন সহ অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের যাতায়াতে শিক্ষার্থীদের জন্য মুড়ির টিন তথা ফিটনেসবিহীন বাস প্রদান করা কিন্তু অপরদিকে কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের প্রদান করা হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব বাস। কয়েকদিন পরপরই শিক্ষার্থীদের এমন দুর্ঘটনার শিকার হতে হচ্ছে। গতদিনে যে দুর্ঘটনার কবলে শিক্ষার্থীরা পড়েছে তাতে বড় কোন ক্ষয়ক্ষতি না হলেও সব মিলিয়ে প্রায় ২৫ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। এতেও পরিবহন প্রশাসকের কোন কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে দেখা যায়নি।
বক্তারা আরো বলেন, ইবি পরিবহন প্রশাসক বর্তমানে একই সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছেন, একটি প্রো-ভিসি অপরটি পরিবহন প্রশাসক। একই সাথে প্রশাসনের এই গুরুত্বপূর্ণ দুইটি পদ ধরে রাখার কোন মানেই হয়না, হয়ত তাকে তার পছন্দমতো যে কোন একটি পদ বেছে নিতে হবল নয়তো সেচ্ছায় পরিবহন প্রশাসক থেকে পদত্যাগ করতে হবে। দুর্ঘটনায় কারো বড় কোনো ক্ষতি না হলে প্রশাসকের টনক নড়বে না বলে বোঝা যাচ্ছে।
সহ-সভাপতি উদয় দেবনাথ বলেন, পরিবহন খাতে যে-সব বাস চালক ও পরিবহন রয়েছে— সেখানে কোনো দক্ষ চালক নেই, বাসগুলোও একদম ফিটনেসবিহীন। এসব বাসে যেন একটু টোকা দিলেই উল্টে যাবে। এই ফিটনেসবিহীন পরিবহন বাদ দিয়ে নতুন পরিবহন দিতে হবে। এছাড়া দক্ষ চালক নিয়োগ এবং বাসগুলোর ফিটনেস পরীক্ষা করা অত্যন্ত জরুরি। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদেরও সচেতন হতে হবে।
ছাত্র ইউনিয়নের ইবি সভাপতি মাহমুদুল হাসান বলেন, আমরা প্রশাসনকে প্রশ্ন করতে চাই, আপনারাও কি বাস চালকের মতো ঘুমিয়ে থাকবেন, নাকি সমস্যা সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ নেবেন। এর আগেও বাসের সিট নিয়ে দুই বিভাগের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য বাসে একটি সিট নিশ্চিত করা না গেলে, সিটের জন্য যদি তাদের যুদ্ধ করতে হয়— এর চেয়ে হাস্যকর কিছু হতে পারে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভালো বাসগুলো শিক্ষক কর্মকর্তাদের জন্য বরাদ্দ থাকে, আর ফিটনেসবিহীন বাস শিক্ষার্থীদের দেওয়া হয়। শিক্ষার্থীরা কি মানুষ নয়? তাদের কেন ফিটনেসবিহীন বাসে চড়তে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে মনে করিয়ে দিতে চাই, আপনারা শত শত শহিদ শিক্ষার্থীর রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে আছেন। টালবাহানা বন্ধ করুন। পরিবহন পুলকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেবেন না।