শিক্ষার মানোন্নয়নসহ ৩২ দাবি সোহরাওয়ার্দী কলেজ ছাত্রশিবিরের

শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি ও সেক্রেটারির উপস্থিতিতে অধ্যক্ষ বরাবর স্মারকলিপি প্রদান
শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি ও সেক্রেটারির উপস্থিতিতে অধ্যক্ষ বরাবর স্মারকলিপি প্রদান  © টিডিসি ফটো

সরকারি শহিদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কাকলী মুখোপাধ্যায় বরাবর ৩২ দফা দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান করেছে শাখা ছাত্রশিবির। স্মারকলিপিতে জুলাই বিপ্লব পরবর্তী সময় সরকারি শহিদ সোহরাওয়ার্দী কলেজকে সংস্কারের মাধ্যমে একটি আদর্শিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরসহ কলেজের চলমান সংকট-সীমাবদ্ধতা এবং তা নিরসনের উপায় প্রশাসনের নিকট তুলে ধরা হয়।

রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টায় কলেজ শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি ও সেক্রেটারির উপস্থিতিতে অধ্যক্ষ বরাবর এ স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

৩২ দফার মধ্যে অন্যতম দাবিগুলো হলো- চব্বিশের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সরকারি শহিদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের সাথে সংশ্লিষ্ট যে সকল শিক্ষক-শিক্ষার্থী,কর্মচারী ফ্যাসিবাদের দোসর হিসেবে কাজ করেছিল, প্রত্যক্ষভাবে গণহত্যাকে সমর্থন ও পরোক্ষভাবে গণহত্যার পক্ষে অবস্থান গ্রহণ করেছিল তাদেরকে চিহ্নিত করে অতিদ্রুত তাদের বিরুদ্ধে অ্যাকাডেমিক, প্রশাসনিক ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে, জুলাই বিপ্লবে সরকারি শহিদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, ঢাকার ২ জন শহিদ পরিবারকে বাৎসরিক আর্থিক সহায়তা করতে হবে, ক্যাম্পাসের ভবনগুলো শহিদদের নামে নামকরণ করতে হবে, বিগত ফ্যাসিবাদী শাসনামলে কলেজ প্রশাসনের অভ্যন্তরে প্রকাশিত সকল দুর্নীতির তথ্য শ্বেতপত্র আকারে প্রকাশের উদ্যোগ নিতে হবে, অতিদ্রুত সময়ের মধ্যে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানের তত্ত্বাবধানে নির্দলীয় নির্বাচন কমিশন ও কমিটি গঠন করে সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে ছাত্রসংসদের প্রতিনিধি নির্বাচনের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

এছাড়া শিক্ষার্থীদের আবাসন সুবিধার জন্য অতিদ্রুত সময়ের মধ্যে হল নিশ্চিত করতে হবে। বিশেষ করে নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ঝুঁকি বিবেচনা করে তাদের জন্য ক্যাম্পাসের নিকটবর্তী এলাকায় ছাত্রী হোস্টেল চালুর কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে এবং টেকসই সমাধান হিসেবে নারী শিক্ষার্থীদের জন্য দ্রুত সময়ের মধ্যে হল নির্মাণ করতে হবে, আগামী এক মাসের মধ্যে ক্যান্টিন নিশ্চিত করতে হবে এবং সেখানে স্বাস্থ্যসম্মত খাবার নিশ্চিত করতে হরে, শিক্ষার্থীদের যাতায়াত সুবিধার জন্য বাসের সংখ্যা বৃদ্ধি ও যাতায়াতের সুবিধাজনক রুটে বাস চলাচল নিশ্চিত করতে হবে,

ক্যাম্পাসের চিকিৎসা কেন্দ্রে সার্বক্ষণিক চিকিৎসক নিশ্চিত করতে হবে। পর্যাপ্ত ঔষধ সরবরাহ ও চিকিৎসার মান উন্নত করতে হবে, ক্যাম্পাসের ভিতরে সকল জায়গা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। ক্যাম্পাসে পর্যাপ্ত ডাস্টবিন স্থাপন ও মশক নিধনের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে, কলেজে রুটিন মাফিক নিয়মিত ক্লাস চালু রাখতে হবে। উচ্চ মাধ্যমিক ও অনার্স শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে। এক্ষেত্রে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি নিশ্চিত করার জন্য বায়োমেট্রিক্স পদ্ধতি ব্যবহার করা যেতে পারে। কলেজে শ্রেণি কার্যক্রম চলাকালে কোন শিক্ষক কোন প্রকার প্রাইভেট/ টিউশন করাতে পারবে না।

প্রসঙ্গত, গত ২১ জানুয়ারি দীর্ঘ ১৭ বছর পর সরকারি শহিদ সোহরাওয়ার্দী কলেজে প্রকাশ্যে আসে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির। নূর নবীকে সভাপতি এবং রাজিব হোসাইনকে সেক্রেটারি করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে কমিটি প্রকাশ করে সংগঠনটি। কমিটি প্রকাশের পর প্রথমবারের মত অধ্যক্ষের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ছাত্রশিবিরের নেতৃবৃন্দ।


সর্বশেষ সংবাদ