ইবিতে ছবি তুলে আড্ডা দিয়ে প্রথম দিন পার করলেন নবীন শিক্ষার্থীরা
- ইবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৬ AM , আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৩ AM
নবীনদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) ক্যাম্পাস। বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরু হয়েছে শনিবার (২ নভেম্বর) থেকে। এ উপলক্ষে বিভিন্ন বিভাগের পক্ষ থেকে নবীনদের বরণ করে নিতে আয়োজন করা হয় নানান অনুষ্ঠানের। ফুল উপহার ও মিষ্টি মুখ করানোর মধ্য দিয়ে নবীনদের বরণ করে নেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৬টি বিভাগ। পাশাপাশি স্বপ্নের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পেরে বেশ উচ্ছ্বাসিত নবীন শিক্ষার্থীরাও।
জার্নালিজম বিভাগের সাদ্দাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম দিনের অনুভূতিটা এমন, যা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব না। আমাদের শিক্ষক ও বড় ভাই-আপুরা যেভাবে আমাদেরকে বরণ করে নিয়েছেন, তা সত্যি অসাধারণ। নিজের একান্ত প্রচেষ্টা ও সবার সহযোগিতায় পিতামাতা ও দেশের মুখ উজ্জ্বল করতে চাই।
শনিবার (২ নভেম্বর) বেলা ১১টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি একাডেমিক ভবনের বিভাগগুলোয় ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। বিভাগভিত্তিক ওরিয়েন্টেশন ক্লাসে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। বিশেষ অতিথি ছিলেন স্ব স্ব অনুষদের ডিন ও বিভাগীয় সভাপতিরা। এ সময় শিক্ষার্থীদের রজনীগন্ধা ও গোলাপের স্টিক দিয়ে বরণ নেওয়া হয়। আজ রোববার (৩ নভেম্বর) থেকে স্বাভাবিক নিয়মে চলবে ক্লাস।
প্রতি বছরের মতো এবারও দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসা শিক্ষার্থীরা প্রথম দিনেই ছিলেন উচ্ছ্বসিত ও প্রাণবন্ত। বিশ্ববিদ্যালয়ের ডায়না চত্বর, ঝাল চত্বর, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, বটতলা প্রাঙ্গণ, মফিজ লেক, আমতলা, সাদিয়া চত্বর ছাড়াও বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তন ও বিভিন্ন অনুষদ ভবনের সামনে নবীন শিক্ষার্থীদের দেখা যায় দলবেঁধে ঘুরে বেড়াতে। তারা ছবি তুলে, আড্ডা দিয়ে এবং একে অপরের সঙ্গে পরিচিত হন। সবুজে ঘেরা ১৭৫ একরে বিশ্ববিদ্যালয়ে জীবনের প্রথম দিনেই যেন ব্যস্ত সময় কেটেছে নবীন শিক্ষার্থীদের।
আরো পড়ুন: খুবির ছাত্রী হলে উৎসবমুখর পরিবেশে ‘অনন্যা উন্মেষ’
নবীন শিক্ষার্থী ফারিয়া বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে পছন্দের বিভাগে ভর্তি হতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত। প্রথমদিনের অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। প্রথম দিনেই ভাইয়া-আপুরা আমাদের অনেকটা আপন করে নিয়েছেন। এ রকম আনন্দঘন পরিবেশ এর আগে পাইনি। চেষ্টা করব মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা করে মানুষের মতো মানুষ হওয়ার।
বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী জুবায়ের বলেন, জীবনে প্রথমবারের মতো বিশ্ববিদ্যালয়ের চৌকাঠ পেরোতে পেরে সত্যি আমি আনন্দিত। চান্স পাওয়ার পর থেকে মনের মধ্যে অনেক চিন্তা, প্রত্যাশা কাজ করতো। অবশেষে বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে পদার্পণ করতে পেরে ভালো লাগছে। আমাদের শিক্ষকবৃন্দ এবং সিনিয়র ভাই-আপুরা খুবই আন্তরিক।