বিতর্কের চর্চা শিক্ষার্থীদের বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশে অবদান রাখে: অধ্যাপক রেজাউল করিম

খুবিতে আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বক্তব্য দিচ্ছেন অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম
খুবিতে আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বক্তব্য দিচ্ছেন অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম  © সংগৃহীত

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) জরুরি প্রশাসনিক ও আর্থিক কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্বপ্রাপ্ত জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম বলেছেন, বিতর্ক হচ্ছে সমাজের মুক্তির হাতিয়ার। যুক্তিতর্ক ছাড়া সামাজিক মুক্তি তথা কোন বিপ্লব সফল হয় না। বিতর্কের চর্চা শিক্ষার্থীদের বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশ ও মননে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। পড়াশোনার পাশাপাশি এমন সহশিক্ষা কার্যক্রমে যুক্ত শিক্ষার্থীদের ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিবেটিং ক্লাব নৈয়ায়িক’র আয়োজনে জাতীয় আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় বিতর্ক প্রতিযোগিতা ‘তৃতীয় নৈয়ায়িক ন্যাশনাল্স-২০২৪’ উদ্বোধন করা হয়েছে। শুক্রবার (৪ অক্টোবর) সকালে আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের সাংবাদিক লিয়াকত আলী মিলনায়তনে প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম।

তিনি বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগঠন নৈয়ায়িক শিক্ষার্থীদের মধ্যে যুক্তিমনস্কতা বৃদ্ধি, সাংগঠনিক ও দায়িত্বশীলতার চর্চা করে সুনাগরিক তৈরির পথ সুগম করছে। তাদের প্রচেষ্টা যুক্তিবাদী সমাজ গঠনে ভূমিকা রাখবে যা দেশের সমৃদ্ধ অর্জন ও জাতিগঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। 

তিনি আরও বলেন, ২০২৪ সালে জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আমরা দ্বিতীয় স্বাধীনতা পেয়েছি। এ স্বাধীনতা আমাদের বাক স্বাধীনতা ফিরিয়ে দিয়েছে। এ স্বাধীনতা জুলুমের বিরুদ্ধে মজলুমের স্বাধীনতা। এতে অভ্যুত্থানে যারা শহীদ হয়েছেন, বিশেষ করে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মীর মুগ্ধসহ সব শহীদকে কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করছি।

অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সহযোগিতায় খুব দ্রুত এ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশসহ সবকিছু স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এসেছে। এ বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৯১ সাল থেকেই ব্যতিক্রম। এখানে সেশনজট, ছাত্ররাজনীতি, গণরুম সংস্কৃতি না থাকায় শিক্ষার্থীরা যেমন শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ পায়, তেমনি শিক্ষকরাও এ স্বাতন্ত্র্যের কারণে গর্ববোধ করেন।

আরো পড়ুন: ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ের চূড়ান্ত ভর্তি কাল থেকে, ক্লাস শুরু ২০ অক্টোবর 

তিনি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃতীয় জাতীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজনের জন্য নৈয়ায়িককে ধন্যবাদ জানান। ভবিষ্যতে যাতে এ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আরও ভালো ভালো বিতার্কিক তৈরি হতে পারে, এজন্য ছাত্র বিষয়ক পরিচালকের দপ্তরের সহযোগিতায় আন্তঃডিসিপ্লিন বিতর্ক প্রতিযোগিতা আয়োজনে গুরুত্বারোপ করেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ছাত্র বিষয়ক পরিচালক প্রফেসর ড. মো. নাজমুস সাদাত, নৈয়ায়িকের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. তুহিন রায় ও সহকারী অধ্যাপক মো. জোবায়ের হোসেন। স্বাগত বক্তব্য দেন আয়োজক কমিটির আহবায়ক মো. সোহেল আল সম্রাট। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন খালিদ আহম্মেদ।

অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি, প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী দলের সদস্য ও নৈয়ায়িকের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। দুই দিনব্যাপী এ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় দেশের ৩৬টি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দল অংশগ্রহণ করেছে। শনিবার এ প্রতিযোগিতার ফাইনাল রাউন্ড অনুষ্ঠিত হবে।


সর্বশেষ সংবাদ